জেলায় প্রথম হওয়ার সাফল্য পুরুস্কার পেয়ে আবারও সফলতার চেষ্টায় বাঘা থানা
বাঘা (রাজশাহী) প্রতিনিধি : চলতি বছরের অক্টোবর মাসে রাজশাহী জেলার শ্রেষ্ঠ থানা ও শ্রেষ্ঠ অফিসার ইনচার্জ হিসাবে স্বীকৃতি লাভ করেছে বাঘা থানা। ভালো কাজের এই সাফল্য উপহার পেয়ে তাঁরা আবারও সফলতার দ্বারপ্রান্তে পৌঁছাতে চান। এ জন্য চলছে নিরলস পরিশ্রম। গত পাঁচ দিনে এ থানার পুলিশ মাদক উদ্ধার-সহ মোট ১২০ জন আসামীকে গ্রেফতার করে। এর মধ্যে রিকলে নিস্পত্তি দেখিয়ে মুক্তি পেয়েছে ৭৭ জন আসামী। বাঁকিদের মধ্যে ৭ জন সাজাপ্রাপ্ত ৩১ জন গ্রেফতারী পরোয়ানা এবং ৫ জন নিয়মিত মামলার আসামী বলে জানা গেছে।
বাঘা থানা অফিসার ইনচার্জ(ওসি)নজরুল ইসলাম জানান, মাদককে জিরো টলার ঘোষনা সহ-উন্নত দেশের আদলে বাংলাদেশ পুলিশিং ব্যবস্থাকে বদলে দিতে চান বর্তমান আইজিপি বেনজির আহাম্মেদ স্যার। তাঁর দিক নির্দেশনায় রাজশাহী রেঞ্জের ডি.আই.জি এবং পুলিশ সুপার মহাদ্বয় নানা পরিকল্পনা গ্রহন করেছেন। বর্তমানে প্রতিটি থানা এলাকার ইউনিয়ন এবং পৌর সভায় সপ্তায় একদিন করে বিট পুলিশিং সেবা প্রদান করা হচ্ছে। একই সাথে থানায় হেল্প ডেক্স চালু করা হয়েছে। আমরা সে লক্ষে অপরাধীদের গ্রেফতার-করা সহ মানুষকে আইনি সেবা দিয়ে যাচ্ছি ।
তিনি বলেন, বাঘা থানা পুলিশের ঐক্রান্তিক প্রচেষ্টায় গত অক্টোবর মাসে রাজশাহী জেলার শ্রেষ্ট থানা এবং শ্রেষ্ট অফিসার ইনচার্জ হিসাবে আমি নির্বাচিত হয়। এ সাফল্য আমার একার নয়, এ সাফল্য পুরো বাঘা থানা পুলিশের। এ জন্য তিনি রাজশাহী রেঞ্জের মাননীয় ডিআইজি এবং পুলিশ সুপার মহাদ্বয়কে ধন্যবাদ জানান। একই সাথে সামনে দিনে কিভাবে আরো ভালোকরা যাই সে উদ্দেশ্য নিয়ে কাজ করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
সুত্রে জানা গেছে, চলতি মাসের শেষ পাঁচ মঙ্গলবার পর্যন্ত বাঘা থানা পুলিশ বেশ কিছু মাদক উদ্ধার করেছে। একই সাথে অত্র এলাকার বিভিন্ন গ্রামে বিশেষ অভিযান পরিচালনার মাধ্যমে ১২০ জন গ্রেফতারী পরোয়ানা ভুক্ত আসামীকে গ্রেফতার করে। এর মধ্যে রিকলে নিস্পত্তি দেখিয়ে মুক্তি দেয়া হয়েছে ৭৭ জনকে। বাঁকি ৪৩ জনকে আদালতের সোপর্দ করা হয়েছে। এর মধ্যে ৭ জন সাজাপ্রাপ্ত আসামী রয়েছে। এরা হলো- আড়ানী চকর পাড়া গ্রামের মাসুদ রানা, কলিগ্রাম এলাকার রফিকুল ইসলাম, কিশোরপুর গ্রামের কদর আলী, আড়ানী চকর পাড়া গ্রামের লালন উদ্দিন, দক্ষিন মিলিকবাঘা গ্রামের মাহাবুর রহমান ও নারায়নপুর গ্রামের সাধিন মিঞা।
বাঘা থানা পুলিশের সহকারী পরিদর্শক (এস.আই) লুৎফর রহমান জানান, বর্তমান অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নজরুল ইসলাম অত্যান্ত সফলতা ও নিষ্ঠার সাথে নিজে দায়িত্ব পালন করেছেন এবং অন্য সকল অফিসার গণের নিকট থেকে কাজ বুঝে নিচ্ছেন। সে অর্থে আমরা এ অঞ্চলের শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী শহিদুল ইসলাম এবং দু’টি ডাকাতি মামলার ওয়ারেন্ট ভুক্ত আসামী সোহেল রানা-সহ ১৮ জন ওয়ারেন্টভুক্ত আসামীকে গ্রেফতার করেছি। একই সাথে ৬৪ টি ওয়ারেন্ট নিস্পত্তি করেছি। এ ধারা অব্যাহত থাকবে বলে তিনি জানান।