বাঘায় অসুস্থ গরুর মাংস বিক্রি: হাতে নাতে ধরা ১০ হাজার টাকা জরিমানা
বাঘা (রাজশাহী) প্রতিনিধি : রাজশাহীর বাঘা পৌরসভার এলাকায় অসুস্থ গরুর জবাই করে মাংস বিক্রির দায়ে এক মাংস বিক্রেতাকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রমাম্যাণ আদালত। গতকাল সোমবার (৯ নভেম্বর) সকালে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউ এনও) শাহিন রেজা ওই জরিমানা করেন। আদালত মাংস পুঁতে ফেলার নির্দেশ দেন।
পুলিশ জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সকাল সাড়ে ৫ টায় অসুস্থ গরুর মাংস বিক্রি করা হচ্ছে এমন সংবাদের ভিত্তিতে শিরোইলের মাংসের দোকানে অভিযান চালানো হয়। এ সময় অসুস্থ গরুর মাংসসহ ওই ব্যাবসায়ীর ঘিরে রাখা হয়।
বাঘা বাজারের নৈশপ্রহরী আব্দুল মান্নান জানান, ভোররাতে একটি অসুস্থ গার্ভী গরু টি একটি অটো ভ্যানে করে দোকানে আনেন মাংস ব্যাবসায়ী জহরুল, সাজদুল, শিরোল। ওই সময় গরুটি জবাই করতে নিষেধ করা হয়। তার পরও অসুস্থ গরুটি জবাই করে মাংস বিক্রি শুরু করেন। বিষয়টি দেখে বাঘা থানা পুলিশকে খবর দিলে দ্রুত ঘটনাস্থলে আসে পুলিশ। পরে স্থানীয় লোকজনসহ পুলিশ অসুস্থ গরুর মাংসের দোকান ঘিরে রাখে।
মাংস বিকেতা হলেন উপজেলার দক্ষিন মিলিক বাঘা গ্রামের জমসেদ আলীর ছেলে জাকির হোসেন ওরুপে শিরল(৩৮)একটি রোগাক্রান্ত (গাই)গরু জবাই করে মাংস বিক্রী শুরু করেন।
এলাকাবাসী এ বিষয়ে অভিযোগ করলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ( ইউএনও) শাহিন রেজা অসুস্থ গরুর মাংস বিক্রির সত্যতা পেয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে অধিকার আইনে ১০০(১০) ২০ এবং ২০১১(২৪)/১ ধারায় মোতাবেক ১০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেন। মাংসগুলো উপজেলার খায়েরহাট হালিম মোল্লা মাস্টারের বড়ির দক্ষিলে পদ্ম নদীর পাশে পুঁতে ফেলা হয়েছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ বাঘায় ওই বাজারেমাংস ব্যবসায়ীরা মাঝে মধ্যে এমন ঘটনা ঘটায়। কিন্তু তারা অধিকাংশ সময় ধরাছোঁয়ার বাইরে থেকে যায়। বিষয়টি প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিয়মিত তদারকি করার জন্য আহান জানানো হয়েছে।
নির্বাহী কর্মকর্তা শাহিন রেজা বলেন , গত এক মাস থেকে বাঘার হাটে পশু জবাই এর পূর্বে সেটি পরীক্ষা-নিরিক্ষার জন্য একজন প্রানি সম্পদ কর্মকর্তা এবং জবাই এর জন্য একজন মওলানা রাখা হয়েছে। বর্তমানে সকল ব্যবসায়ী সরকারি এ নির্দেশ মান্য করছেন। কিন্তু সোমবার জাকির হোসেন ওরুপে শিরল নামে এক ব্যবসায়ী এ নিয়ম ভঙ্গ করে।
এ কারণে পশু জবাই ও মাংসের মান নিয়ন্ত্রন আইন ২০১১ এর ২৪ ধারায় তাকে অর্থ দন্ডে দন্ডিত করা হয়।