খবররাজশাহীলীড

স্বাভাবিক জীবনে ফেরার স্বপ্ন দেখছে জঙ্গিরা

আরএমপি নিউজ : রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের অনন্য উদ্যোগে নেতিবাচক জীবন ছেড়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসার স্বপ্ন দেখতে শুরু করছে বিভিন্ন সময় অভিযুক্ত ও জামিনপ্রাপ্ত ১১১ জঙ্গি।

আজ ১৬ই মার্চ ২০২৩ খ্রিষ্টাব্দে বিকেল ৪:৩০ টায় বেলপুকুর থানায় অভিযুক্ত ও জামিনপ্রাপ্ত ৩৩ জন জঙ্গি হাজির হন। তারা অফিসার ইনচার্জ মোহা: মনিরুজ্জামানের নিকট হাজিরা দেন। এসময় অনেক গণমাধ্যম কর্মীদের উপস্থিতিতে তারা স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসার কথা ব্যক্ত করেন।

রাজশাহী মহানগরের ১২ টি থানার মধ্যে ৬ টি থানা যথাক্রমে বোয়ালিয়া, রাজপাড়া, মতিহার, বেলপুকুর, পবা ও চন্দ্রিমা থানায়  জঙ্গি সংক্রান্তে ২৬ টি মামলা রয়েছে। এর মধ্যে ৯ টি মামলার বিচার সম্পন্ন হয়েছে, ১৪ টি বিচারাধীন ও ৩ টি তদন্তাধীন রয়েছে। ২৬ টি মামলায় ১১১ জনের মধ্যে জেএমবি’র ৮৬ জন, হিযবুত তাহরীরের ১৫ জন, শাহাদৎ আল হিকমা’র ১ জন, আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের ১ জন এবং আনসার আল ইসলামের ৮ জন জঙ্গি রয়েছে। তারা প্রত্যেকই আজ স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসার লড়াই করছে।

এতসংখ্যক জঙ্গিবাদ মামলার আসামিকে এ ধরনের কর্মসূচির আওতায় আনা আরএমপি’র একটি নজিরবিহীন উদ্যোগ ।

জঙ্গিদের স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসা প্রসঙ্গে পুলিশ কমিশনার মো: আনিসুর রহমান, বিপিএম (বার), পিপিএম (বার) বলেন, এটি আরএমপি’র প্রতিরোধমূলক কার্যক্রম। থানায় নিয়মিত হাজিরার ব্যবস্থা করা হয়েছে। জামিনে মুক্ত জঙ্গি মামলার আসামিরা স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসার অঙ্গীকার করেছেন এবং আমরাও চাই জঙ্গি মামলার আসামিরা জঙ্গিবাদ হতে মুক্ত হয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসুক।

উল্লেখ্য, রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের বেলপুকুর থানায় মোট ৩৮ জন তালিকাভুক্ত জঙ্গি রয়েছে। এর মধ্যে ৩৩ জন নিয়মিত থানায় হাজিরা দিচ্ছে ও ১ জন জেল হাজতে রয়েছে। থানায় হাজিরা দেওয়া ৩৩ জনের মধ্যে ৩ জন যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি হাইকোর্টের আদেশে জামিনে মুক্ত রয়েছে। বাকি ৩০ জনের মধ্যে ২৯ জন বিচারাধীন আদালত হতে জামিনে মুক্ত আছে এবং ১ জনকে মামলা তদন্তকালে অব্যাহতি প্রদান করা হয়েছে। তবে ৪ জন জঙ্গির তথ্য সংগ্রহ সংক্রান্তে গৃহীত কার্যক্রম চলমান আছে।

পরীক্ষামূলক বেলপুকুর থানায় ৩৩ জনের হাজিরার মাধ্যমে এ কার্যক্রম শুরু হলো। এপ্রিল থেকে আরও চার থানায় এ কর্মসূচি শুরু করা হবে।

আরএমপি’র এ মহতি উদ্যোগ অভিযুক্ত ও জামিনপ্রাপ্ত জঙ্গি মামলার আসামিরা এবং তাদের পরিবারের সদস্য-সহ নগরবাসীর কাছে প্রশংসিত হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *