খবররাজশাহীলীড

রাস্তার দুই পাশে কোটি টাকার ড্রেন, তার পরেও পানি বের হচ্ছেনা ! ড্রেনের উপর দোকান যানজট

বাঘা(রাজশাহী) প্রতিনিধি : রাজশাহীর বাঘা সদরে অবস্থিত বাসটার্মিনাল থেকে বাঘা বাজারের পূর্বপ্রান্ত পর্যন্ত রাস্তার দুই পাশে ১৩ কোটি টাকার ড্রেন। বৃষ্টিতে রাস্তায় জমে থাকছে থৈ-থৈ পানি। একই অবস্থা উপজেলার মুজিব চত্বর থেকে নারায়নপুর সড়কঘাট পদ্মানদী পর্যন্ত ৪ কোটি টাকার ড্রেনে। কারণ পরিকল্পনায় ত্রুটি । বাঘা বাজারের দুই পার্শে ড্রেনের উপর গড়ে উঠেছে দোকান এর ফলে ভোগান্তির শিকার হচ্ছে স্কুল ও কলেজ পুড়িয়া শিক্ষাথীরাসহ সর্বস্তরের জনগণ।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বাঘা পুরাতন বাসটার্মিনাল থেকে বাঘা বাজারের পূর্বপ্রান্ত পর্যন্ত রাস্তার দুই পাশের একটি ড্রেন ২০১৯ সালে ১ কোটি টাকা ব্যায়ে নির্মান করে বাঘা পৌরসভা। অপর একটি ড্রেন ১২ কোটি টাকা ব্যায়ে ২০২২ সালে নির্মান করে রাজশাহী জেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী। অনুরুপ ভাবে ২০১৭ সালে উপজেলা মুজিব চত্বর থেকে নারায়নপুর সড়কঘাট পদ্মানদী পর্যন্ত ৪ কোটি টাকা ব্যয়ে আরো একটি ড্রেনের কাজ সম্পন্ন করে বাঘা পৌর সভা।
স্থানীয় ভুক্তভুগীরা অভিযোগ করে বলেন, বাঘা পৌর সভার মাধ্যমে শহর উন্নয়ন অবকাঠামো খাতে সরকারি টাকায় যে দুটি ড্রেন নির্মান করা হয়েছে তা জনগনের কাজে আসছে না। বাঘা বাজারে প্রতিবছর বর্ষা মৌসুমে পানি জমে থাকা ও রাস্তা ভেঙ্গে একাকার হওয়ায় জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী নতুন একটি ড্রেন করেছেন। তবে নতুন ড্রেন নির্মানের পর জমে থাকা পানি ড্রেন দিয়ে বের হলেও সময় লাগছে অনেক বেশি। অপর একটি ড্রেন মুজিব চত্বর থেকে নারায়নপুর সড়কঘাট পর্যন্ত পরিকল্পনায় ত্রুটি থাকার কারনে ড্রেনের পানি নদীতে প্রবেশ করতে বাধাগ্রস্থ হয়।
কলেজ শিক্ষার্থী আবুল বাশার বলেন, বাঘা বাজারে দুই পার্শের ড্রেনের উপর দোকান না থাকলে স্কুল ও কলেজ শিক্ষার্থীরাসহ সাধারণ জনগন পায়ে হেটে যেতপারতো। তাই বাঘা পৌরসভার মেয়র আক্কাছ আলীকে দৃষ্টি আর্কষণ করছি ড্রেনের উপর দোকান গুলোকে উঠিয়ে দিলে যানজট অনেক কমে যাবে।

বাঘা পৌর সভার বাসিন্দা হাসমত আলী জানান, গত বছরের বর্ষা মৌসুমে বাঘা পৌরবাসী জলাবদ্ধতার কাছে সবচেয়ে বড় জিম্মি হয়ে পড়েছিল। বৃষ্টির ফলে পৌর এলাকার বিভিন্ন এলাকায় সৃষ্ট জলাবদ্ধতায় দোকান ও বাড়িঘরে পানি ঢুকে পড়ে। সড়কের মাঝে সৃষ্টি হয় বড় বড় গর্ত । এতে ভোগান্তির শিকার হন যান চালকরা। এবারও ঠিক একই অবস্থা। আমরা এর একটি প্রতিকার চাই।

সার্বিক বিষয়ে বাঘা পৌর মেয়র আক্কাছ আলী বলেন, বর্ষা মৌসুমে জলাবদ্ধাতা শুধু বাঘার চিত্র নয়,এ সমস্যা অনেক জায়গাতেই রয়েছে। আমি মাঝখানে একটার্ম মেয়র ছিলাম না। এ বছর নতুন করে নির্বাচিত হয়েছি। আমার পরিকল্পনা রয়েছে এবার বর্সা মৌসুম শেষে সর্ব প্রথম ড্রেন সংস্কার-সহ পানি নিস্কাশনের ব্যবস্থা করবো।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *