“রাসিক নির্বাচন” হলফনামায় সবচেয়ে বেশি সম্পদশালী আ.লীগের মেয়রপ্রার্থী
রাজশাহী প্রতিনিধি :- রাজশাহী সিটি করপোরেশন নির্বাচনে এবার মোট ৪জন মেয়রপ্রার্থী অংশ নিচ্ছেন। এর মধ্যে আওয়ামী লীগের মনোনীত মেয়রপ্রার্থী এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন বেশি সম্পদশালী। আর জাতীয় পার্টি থেকে মনোনীত মেয়রপ্রার্থী সাইফুল ইসলাম স্বপন হলেন স্বাক্ষর জ্ঞানসম্পন্ন। সবচেয়ে কম অর্থশালী জাকের প্রার্টির মেয়রপ্রার্থী লতিফ আনোয়ার তার নগদ টাকার পরিমাণ মাত্র এক লাখ। সেখানে বাংলাদেশ ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী মুরশিদ আলম ফারুকীর হাতে আছে ১২ লাখ টাকা। আর সদ্য সাবেক মেয়র লিটনের নগদ টাকার পরিমাণ সাত লাখ। সেই হিসেবে নগদ টাকা বেশি হাতপাখা মার্কার প্রার্থী মুরশিদ আলম ফারুকীর।
আওয়ামী লীগের মেয়রপ্রার্থী এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন বিএ অনার্স, এলএলবি পাশ। নির্বাচন কমিশনের দাখিলকৃত হলফনামায় তাঁর বার্ষিকয় আয় দেখানো হয়েছে দুই কোটি ৯৮ লাখ ১০ হাজার টাকা। যা অন্য তিন প্রার্থীর আয় মিলেও এতো টাকার সমান নয়। তাঁর স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তির ক্ষেত্রেও অন্য তিন প্রার্থীর একসঙ্গে মিলেও ধারে-কাছে নাই। লিটনের স্থাবর সম্পত্তির পরিমাণ কয়েক কোটি টাকা। আর অস্থাবর সম্পত্তিও চার কোটি টাকার ওপরে। এমনিতেও বাব-দাদার আমল থেকেই সম্পদশালী লিটন পরিবার।
অন্যদিকে হলফনামায় জাতীয় পার্টির মনোনীত মেয়রপ্রার্থী সাইফুল ইসলাম স্বপনের শিক্ষাগত যোগ্যতা দেওয়া হয়েছে স্বাক্ষরজ্ঞানসম্পন্ন। তার বার্ষিক আয় দেখানো হয়েছে ব্যবসা থেকে ৩ লাখ ৬০ হাজার টাকা। অস্থাবর সম্পত্তির ক্ষেত্রে নগদ রয়েছে তিন লাখ টাকা, ব্যাংকে জমা ৫০ হাজার, টাকা স্বর্ণ ১০ ভরি, ইলেক্ট্রনক্সি ও আসবাবপত্র রয়েছে ৮০ হাজার টাকার। স্থাবর সম্পত্তির ক্ষেত্রে রয়েছে কৃষি জমি সাড়ে ৪ বিঘা, অকৃষি ১২ শতক।
বাংলাদেশ ইসলামী আন্দোলনের মুরশিদ আলম ফারুকী কামিল পাশ। তাঁর বার্ষিক আয় দেখানো ৩ লাখ ৩০ হাজার টাকা। এছাড়াও নগদ টাকার পরিমাণ রয়েছে ১২ লাখ টাকা এবং স্বর্ণলঙ্কার ১০ ভরি। তবে স্থাবর সম্পত্তির ক্ষেত্রে কোনো মন্তব্য করা হয়নি।
অন্যদিকে জাকের পার্টির আনোয়ার লতিফের হলফনামায় দেখা যায়, তিনি এলএলএম পাশ। তাঁর বার্ষিক আয় তিন লাখ টাকা। নগদ টাকার পরিমাণ এক লাখ। আর ব্যাংকে জমা রয়েছে দুই হাজার টাকা এবং আসবাবপত্র ও ইলেক্ট্রনিক্স সামগ্রি রয়েছে ৫০ হাজার টাকার। এছাড়া স্থাবর সম্পত্তির ক্ষেত্রে কোনো মন্তব্য করা হয়নি।