রামকে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অর্ধেক ডেঙ্গু রোগিই স্থানীয়ভাবে আক্রান্ত
রাজশাহী প্রতিনিধি : রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে প্রতিদিন বাড়ছে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা। রোগী বেড়ে যাওয়ায় ডেঙ্গু ইউনিটের বেডের সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে।
রামেক হাসপাতালের তথ্যমতে,২ জুলাই বুধবার সকাল ৯টা পর্যন্ত, ৬৯ জন ডেঙ্গু রোগী রামেক হাসপাতালে ভর্তি আছেন। এর মধ্যে স্থানীয়ভাবে আক্রান্ত ৩৪ জন। বাকিরা ঢাকায় আক্রান্ত হয়ে রাজশাহী এসেছেন।
গত ২৪ ঘণ্টায় ২০ জন নতুন করে ডেঙ্গু আক্রান্তে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। একই সময় সুস্থ হয়ে হাসপাতাল ছেড়েছেন ১৬ জন। এখন পর্যন্ত ৩৩৫ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীকে রামেক হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এদের মধ্যে মারা গেছেন ১জন। আর চিকিৎসা শেষে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন ২৬৫ জন। হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নেয়া রোগিদের মধ্যে ১০৪ জনই স্থানীয়ভাবে আক্রান্ত। বাকিরা ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলায় গিয়ে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন।
রামেক হাসপাতালের ডেঙ্গু ওয়ার্ডের ইনচার্জ ও মেডিসিন বিভাগের সহকারি অধ্যাপক ডা. তানজিলুল বারি বলেন, রামেক হাসপাতালে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে। রোগীদের সেবায় হাসপাতালের একটি বিশেষায়িত টিম কাজ করছে। মজুত রাখা হয়েছে ওষুধপত্র। তবে এভাবে রোগী বাড়তে থাকলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে হিমশিম খেতে হবে।
রাজশাহী জেলা সিভিল সাজন আবু সাঈদ মো. ফারুক বলেন, রাজশাহীতে এখন স্থানীয়ভাবে আক্রান্ত ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত বেড়েছে। ফলে মশা নিয়ন্ত্রণ ও সচেতনতা বাড়াতে আমরা নানা পদক্ষেপ নিয়েছি।
রাজশাহী সিটি করপোরেশনের (রাসিক) প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এ বি এম শরীফ উদ্দিন বলেন, এডিস মশার লার্ভা ধ্বংসে বিশেষ অভিযান চলমান। ভ্রাম্যমাণ আদালতও পরিচালনা করা হচ্ছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে ডেঙ্গু বিষয়ে ক্যাম্পেইন ও সচেতনতামূলক নানান কার্যক্রম চলছে।
‘ডেঙ্গু হতে পারে মহামারী, ব্যবস্থা নেওয়া অতীব জরুরী’ এ স্লোগান সামনে রেখে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ডেঙ্গু প্রতিরোধে সচেতনাতামূলক প্রচার চালানো অব্যহত রয়েছে।
বুধবার সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসী অ্যাসোসিয়েশন আয়োজিত র্যালি ও লিফলেট বিতরনের মধ্য দিয়ে ক্যাম্পাসের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অন্যান্যদের ডেঙ্গু রোধে করনীয় ও সচেতন হবার বার্তা দেয়া হয়। এসময় ক্যাম্পাসে কোথাও যেন পানি জমে এডিসের লার্ভা জন্ম নিতে না পারে সেদিকে সবাইকে নজর রাখার প্রতি আহ্বান জানানো হয়। পরে এক আলোচনা সভায় ক্যাম্পাসের শিক্ষার্থীদের ডেঙ্গু থেকে নিরাপদ রাখতে সংক্রামক ব্যাধী সেলের মাধ্যমে সার্বিক বিষয় পর্যবেক্ষণ ও দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে বলে জানান বিশ^বিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. গোলাম সাব্বির সাত্তার।