অর্থনীতিখবররাজশাহীলীড

রাজশাহীর বাঘায় আমের পর পেয়ারার খ্যাতি দেশে-বিদেশে

বাঘা (রাজশাহী) প্রতিনিধি : রাজশাহীর বাঘায় আমের পাশাপাশি পেয়ারও খ্যাতি ছড়াচ্ছে দেশে ও বিদেশে। ইতোমধ্যে বাঘা উপজেলায় উৎপাদিত ৫০০ কেজি পেয়ারা ইটালিতে রপ্তানি করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
সোমবার (১৬ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় ঢাকার একটি ব্যবসা প্রতিতষ্ঠানের মাধ্যমে এই উপজেলার পেয়ারা রপ্তানি করা হয়। এরপর বরই বিদেশে রপ্তানি পণ্য হিসেবে সংযুক্ত করার চেষ্টা করা হচ্ছে এবং অদূর ভবিষ্যতেই এটি বাস্তবায়ন সম্ভব হবে বলে মন্তব্য করেন বাঘা উপজেলা কৃষি অফিসার শফিউল্লাহ সুলতান জনি।
সংশ্লিষ্টরা জানান, রাজশাহীর আমের জন্য বিখ্যাত বলা হলেও মূলত আম প্রধান অঞ্চল হিসেবে খ্যাত বাঘা ও চারঘাট উপজেলা। এর মধ্যে মাটির গুনগত কারণে বাঘা উপজেলার আম দেশ বিখ্যাত হিসেবে খেতাব দিয়েছেন ব্যবসায়ী ও ক্রেতারা। এর উদাহারণ স্বরূপ গত ছয় বছর ধরে এ উপজেলার আম ইংল্যান্ড, নেদারল্যান্ড, সুইডেন, নরওয়ে, পর্তুগাল এবং ফ্রান্সসহ রাশিয়াতেও রপ্তানি হচ্ছে। সম্পূর্ণ ফরমালিন ও কেমিক্যাল মুক্ত এই আম ইতোমধ্যে বাঘার সুনাম বয়ে এনেছে।
তবে এবার প্রথমবারের মতো ৫০০ কেজি পেয়ারা ইটালিতে রপ্তানি করা হলো। মেসার্স আদাব ইন্টারন্যাশনাল, ঢাকার মাধ্যমে রপ্তানি করলেন বাঘার কলিগ্রাম এলাকার বৃহৎ ফল উৎপাদনকারি শফিকুল ইসলাম সানা।
ভবিষ্যতে বরই বিদেশে রপ্তানি পণ্য হিসেবে সংযুক্ত করার চেষ্টা করা হচ্ছে। খুব দ্রুতই পেয়ারা এবং বরই বেশি পরিমাণে রপ্তানি করার জন্য রপ্তানিকারকদের সঙ্গে আলোচনা করা হচ্ছে এবং অদূর ভবিষ্যতেই এর ফলাফল জানানো হবে বলে মন্তব্য করেছেন উপজেলা কৃষি অফিসার শফিউল্লাহ সুলতান জনি।
তিনি বলেন, রাজশাহীর ৯ উপজেলার মধ্যে আটটিতে যে পরিমাণ আম বাগান রয়েছে। তার সমপরিমান বাগান রয়েছে বাঘা উপজেলায়।

এ বিষয়ে কৃষি অফিসার শফিউল্লাহ সুলতান তার ফেসবুক পেইজে লিখেছেন, চাকরি জীবনে নিজের জন্য কিছু করতে পারিনি। তবে কৃষকদের জন্য কিছু করে যেতে চাই। কারণ প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, দেশের একটি জায়গাও যেনো অনাবাদি না থাকে। আমি এবং আমার টিমের সদস্যরা সেই লক্ষ্য-উদ্দেশ্যে নিয়ে মাঠ পর্যায়ে কৃষি ক্ষেত পরিদর্শনসহ কৃষকদের নানা পরামর্শ দিয়ে তাদের উদ্বুদ্ধ করে থাকি। বাংলাদেশ ইতোমধ্যে কৃষিতে বহুক্ষেত্রে স্বনির্ভর হয়েছে। আমার বিশ্বাস, অন্যান্য ক্ষেত্রেও অচিরে দেশ স্ব-নির্ভর হিসেবে পরিচিতি লাভ করবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *