রাজশাহীতে ২৬টি উন্নয়ন প্রকল্প উদ্ধোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
আবুল কালাম আজাদ (রাজশাহী): রাজশাহীতে ২৬টি উন্নয়ন প্রকল্প উদ্ধোধন করলেন প্রধানমন্ত্রীর জননেত্রী শেখ হাসিনা। রাজশাহী সিটিকর্পোরেশন সহ এই প্রকল্প ব্যয় প্রায় ১,৩১৬ দশমিক ৯৭ কোটি টাকা। তিনি ৩৭৬ দশমিক ২৮ কোটি টাকা আনুমানিক ব্যয়ে নির্মাণাধীন আরো ছয়টি প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। তিনি বলেন, দেশ এখন উন্নয়নশীল, আগামীতে দেশকে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার আশা ব্যক্ত করেন এবং এর মাধ্যমে বাংলাদেশে বেকার সমস্যা সমাধান হবে বলেও জানান।
আজ রবিবার বিকেলে ঐতিহাসিক মাদরাসা মাঠে রাজশাহী মহানগর ও জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত বিশাল জনসমাবেশে যোগদান করে প্রকল্পগুলোর উদ্বোধন ও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনার কথা জানান। বক্তব্য শেষে তিনি আগামী নির্বাচনে আওয়ামীলীগ সরকারকে ভোট দেয়ার আহবান জানান।
সমাবেশে তাঁর আগমনকে ঘিরে জনস্রোতে পরিণত হয়। প্রায় এক মাস আগে থেকেই প্রধানমন্ত্রীকে বরণ করে নিতে চলে প্রস্তুতি। আবশেষ সেই বরণের প্রহর শেষে রোববার রাজশাহীর জনসভায় আসেন প্রধানমন্ত্রী।
শেখ হাসিনা বলেন, জামাত- বিএনপি ক্ষমতাসীন ২০০১ সাল থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত তারা ক্ষমতায় থাকলেও দেশের কোণ উন্নয়ন করেননি। আর আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় থাকলে দেশের উন্নয়ন হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাস্তবায়িত প্রকল্পগুলো হলো- জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরাল। রাজশাহী সিটি করপোরেশন প্রায় ৫ কোটি ৩ লাখ টাকা ব্যয়ে নগরীর সিএন্ডবি ক্রসিংয়ে ম্যুরালটি নির্মাণ করেছে। এ ছাড়া সিটি করপোরেশন আরো যেসব প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছে সেগুলো হচ্ছে- শেখ রাসেল শিশু পার্ক, মোহনপুর রেল ক্রসিংয়ের ওপর ফ্লাইওভার, চার লেনের সড়ক এবং ভাদ্রা রেল ক্রসিং থেকে নওদাপাড়া বাস টার্মিনাল পর্যন্ত ধীরগতির যানবাহনের জন্য একটি পৃথক লেনসহ রোড ডিভাইডার, চার লেনের সড়ক এবং রোড ডিভাইডার। বিলসিমলা রেলক্রসিং থেকে সিটির হাট পর্যন্ত ধীরগতির যানবাহনের জন্য আলাদা লেন এবং সড়ক প্রশস্তকরণ, কল্পনা সিনেমা হল থেকে তালাইমারি ক্রসিং এবং কার্পেটিং সড়কের উন্নয়ন, হাই-টেক পার্ক হয়ে রেন্টুর খারির আড়ত থেকে ধলুর মোড় পর্যন্ত নর্দমা ও ফুটপাত নির্মাণ এবং কার্পেটিং। কোর্ট থেকে শাহারতলী ক্লাব পর্যন্ত রাস্তা নির্মাণ।
সভাস্থলে হাজার হাজার নারী কর্মীরা ব্যাপক উৎসাহের মধ্যে দিয়ে সভাস্থলে যোগ দেন। সভায় নারী-পুরুষ নানান রঙ্গের শাড়ী ও ক্যাপ পড়ে সভায় যোগ দিয়েছেন।
এদিকে সাতটি অঞ্চল থেকে সাতটি স্পেশাল ট্রেন যোগে জনসভায় যোগ দিতে আসেন নানা বয়সের নারী পুরুষ। তারার নিজ এলাকার এমপি ও নেতাদের দেয়া ক্যাপ,টিশার্ট ও নানা রং-বেরংয়ের শাড়ী পড়ে মেয়েরাও আসেন সভায় যোগ দিতে।
লাল সবুজসহ বাহারী রংয়ের সমাহারে সজ্জিত পুরো নগরী।
সড়ক পথে ছিলো উপচে পড়া জনস্রোত।তীলা ধরনের ঠাঁই ছিলোনা সভাস্থলসহ পুরো নগরীতে।
বিভিন্ন বয়সের ছেলেরা মাথায় ফিতা, টিশার্ট ও ক্যাপ পড়ে গানের তালে তালে প্রবেশ করেন মাঠে। মাঠের ভেতরে কর্মীদের উচ্ছ্বাসিত রাখতে পরিবেশন করা হয় সংগীত। প্রখ্যাত বাউল শিল্পী শফি মন্ডল গানে গেয়ে মাঠে আন্দন্দের জোয়ারে ভেসে উঠে জনস্রত।
গান আর নানান রঙের পোষাক রাজশাহীতে আওয়ামী লীগের জনসভার এক নতুন ইতিহাস সৃষ্টি করেছে বলে নেতাকর্মীরা জানিয়েছেন।