খবররাজশাহীলীড

কর্মমূখী স্মার্ট নগরী গড়তে লিটনের ১০৫ দফা নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা

রাজশাহী প্রতিনিধি :-কর্মমূখী স্মার্ট নগরী গড়ে তুলতে ছয়টি ক্যাটাগরিতে ১০৫ দফার নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করেছেন রাজশাহী সিটি করপোরেশন নির্বাচনের মেয়র প্রার্থী আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন। শনিবার দুপুরে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলন করে নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষনা করেন তিনি।
ইশতেহার ঘোষনার সংবাদ সম্মেলনে ২০১৮ সালে মেয়র নির্বাচিত হওয়ার পর পাঁচ বছরের তার উন্নয়ন চিত্র তুলে ধরেন খায়রুজ্জামান লিটন। তিনি আগামীতে নির্বাচিত হলে ব্যাপক কর্মসংস্থান এবং বেকারত্ব হ্রাস ও উদ্যোক্তা সৃষ্টি, অর্থনৈতিক, সামাজিক, মানবিক, শান্তিময় ও সমৃদ্ধ মহানগরী গড়ে তোলা, মহানগরীকে বরেন্দ্র অঞ্চলভিত্তিক আকর্ষণীয় পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে প্রতিষ্ঠা করা, শিক্ষা ও সংস্কৃতি সমৃদ্ধ মহানগরীর বিশেষত্ব অর্জন, মহানগরীর ভৌগোলিক আয়তন ৯৬ বর্গকিলোমিটার থেকে ৩৫০ বর্গকিলোমিটার পর্যন্ত সম্প্রসারণ করা এবং রাজশাহী শহরের পাশে জেগে উঠা পদ্মার চরে রিভারসিটি নির্মাণে কাজ করবেন বলে প্রতিশ্রুতি দেন।
ইশতেহার ঘোষণার সময় আওয়ামী লীগের উপদেষ্ঠা পরিষদের সদস্য প্রফেসর আব্দুল খালেক, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও বিএমডিএর চেয়ারম্যান আক্তার জাহান, নগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী কামাল, জেলার ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অনিল কুমার সরকার, মহানগর ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি লিয়াকত আলী লিকুসহ জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগসহ ১৪ দলের নেতৃত্ববৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন “উন্নয়ন দৃশ্যমান এবার হবে কর্মসংস্থান” এই স্লোগানকে সামনে রেখে বলেন, ক্রমবর্ধমান এই শহরের নাগরিক সুবিধা ও কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা এবার আমার লক্ষ্য ও অঙ্গীকার। আমার জন্মশহরে কাজের আগ্রহ ও আনন্দ পাই তারুণ্যের প্রাণস্পন্দন দেখে। এই শহরে বিশ্ববিদ্যালয়, মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়, প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ও কর্মমুখী অনেক কারিগরী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আছেÑ যেখান থেকে তরুণ-তরুণীরা শিক্ষাগ্রহণ করে কর্মসংস্থানের জন্য উন্মুখ হয়ে আছে। আমি এই বিষয়ে সম্পূর্ণ সচেতন ও আন্তরিক। তাই উন্নয়নের গতি অব্যাহত রাখতে নেতৃত্বের ধারাবাহিকতা প্রয়োজন। পরিবেশবান্ধব, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, সুশাসনসমৃদ্ধ একটি মহানগর গড়ে তোলা আমার স্বপ্ন।

সম্মানিত মহানগরবাসী
আপনারা জানেন, একটি আধুনিক ও সুসমৃদ্ধ নগর গড়তে সিটি কর্পোরেশনকে সরকারের বিভিন্ন সংস্থা ও বৈদেশিক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সুসমন্বয়ের মাধ্যমে কাজ করতে হয়। এমনকি সাধারণভাবে যে সমস্ত কাজ মেয়রের দায়িত্বে ন্যস্ত নয় সেই সমস্ত কাজ এবং উদ্যোগ এই নগরীর সামগ্রিক উন্নয়নের স্বার্থে আমি গ্রহণ করেছি। রাজনৈতিক অভিভাবকত্বের অবস্থান থেকে আমি সমন্বয়ক এবং উৎসাহদাতা হিসেবে এগিয়ে এসেছি। সেই জন্য নগরপ্রধানের ব্যক্তিত্ব, নেতৃত্ব গুণ ও দক্ষতা প্রয়োজন। আমার কর্ম উদ্যোগ ও পরিকল্পনা বাস্তবায়নে আন্তরিকভাবে কাজ করতে গিয়ে আমি নগরপ্রধান হিসেবে নিজেকে একজন সেবক মনে করি। আমি একজন সেবক হিসেবে রাজশাহী নগরবাসীর জন্য যা যা করেছি এবং যা যা করতে চাই তার বিস্তারিত বিবরণ আপনাদের নিকট পেশ করছি।

যা যা করেছি
পরিবেশ উন্নয়ন ও স্বীকৃতি অর্জন
বিশ্ব উষ্ণায়ন ও মরুময়তার এক ভয়াবহ অঞ্চলে আমরা বসবাস করি। টেকসই উন্নয়নের জন্য সবুজায়ন বিশ্বব্যাপী খুব গুরুত্বপূর্ণ প্রসঙ্গ। রাজশাহী মহানগরীর বিভিন্ন স্থানে সড়ক বিভাজক, ফুটপাত, সড়কদ্বীপ ও চত্বরসমূহে ২ লক্ষাধিক নানা প্রজাতির স্থায়ী বৃক্ষ এবং ১০ লক্ষাধিক সৌন্দর্যবর্ধক হেজ জাতীয় বৃক্ষরোপণ করা হয়েছে। এছাড়াও শীত ও বসন্তকালে নগরীর সড়ক বিভাজকে বিভিন্ন প্রজাতির ফুলের চারা রোপণের মাধ্যমে সড়কগুলো ফুলে-ফুলে সুশোভিত করা হয়। শুধুমাত্র ২০২২-২০২৩ সালের শীত মৌসুমে ২ লাখ ৫৩ হাজার নানা প্রজাতির ফুলের চারা রোপণ করা হয়েছে। স্বীকৃতি হিসেবে বৃক্ষরোপণে প্রধানমন্ত্রীর জাতীয় পুরস্কার ২০০৯, ২০১২ ও ২০২১ অর্জন, জাতীয় পরিবেশ পদক ২০২১ ও ২০২২ এবং এনভায়রনমেন্ট ফ্রেন্ডলি সিটি অব দ্যা ইয়ার ২০১৬, বাতাসে ক্ষতিকারক ধূলিকণা ও কার্বনডাই অক্সাইড কমানোয় ডঐঙ (বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা) কর্তৃক বিশ্বের সেরা নগরী এবং এশিয়ার অন্যতম পরিচ্ছন্ন শহরের স্বীকৃতি অর্জন।

পরিচ্ছন্নতা ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনা
শহরকে পরিষ্কার ও পরিচ্ছন্ন রাখার জন্য জনসাধারণের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টির মাধ্যমে বাড়ি বাড়ি থেকে বর্জ্য সংগ্রহ, দিনে ও রাতে নগরীর রাস্তাঘাট ঝাড়– দেওয়া এবং রাত্রিকালীন বর্জ্য অপসারণ করে নগরবাসীকে ঝকঝকে একটি শহর উপহার দেয়া সম্ভব হয়েছে। ব্যবসা প্রতিষ্ঠানসমূহে বিনামূল্যে ডাস্টবিন প্রদান ও মশা নিয়ন্ত্রণে নিয়মিত পরিচ্ছন্নতা অভিযান, লার্ভিসাইড ব্যবহার এবং ফগার মেশিনে কীটনাশক স্প্রে করা হচ্ছে। ১২টি আধুনিক সেকেন্ডারি ট্রান্সফার স্টেশন (এসটিএস) ও মেডিকেল বর্জ্য ব্যবস্থাপনা প্লান্ট নির্মাণ করা হয়েছে।

যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন
রাজশাহীর বিমান চত্বর থেকে বিহাস, তালাইমারি থেকে আলুপট্টি, বিলসিমলা রেলক্রসিং মোড় থেকে কাশিয়াডাঙ্গা, ভদ্রা রেলক্রসিং থেকে নওদাপাড়া বাসটার্মিনাল, বিলসিমলা থেকে সিটি হার্ট পর্যন্ত ৪ লেন সড়ক ও বুধপাড়া এলাকায় ফ্লাইওভার নির্মাণ করা হয়েছে। এছাড়াও সপুরা থেকে পোস্টাল একাডেমি, সাগরপাড়া বটতলা থেকে রুয়েটের সীমানা প্রাচীর পর্যন্ত, উপশহর-মালোপাড়া-রাণীবাজার সড়ক, মনিচত্বর থেকে জাদুঘর মোড়, বঙ্গবন্ধু হাইটেক পার্ক সংলগ্ন সড়কসহ নগরীর গুরুত্বপূর্ণ সড়ক, পাড়া মহল্লার অলিগলি প্রশস্তকরণ ও উন্নয়ন করা হয়েছে।
চলমান রয়েছে তালাইমারি থেকে কাটাখালি পর্যন্ত ৬ লেন সড়ক নির্মাণের কাজ। রাজশাহী-ঢাকা রুটে বিরতিহীন বনলতা এক্সপ্রেসসহ কয়েকটি নতুন রুটে ট্রেন চালু; আমের মৌসুমে আম পরিবহনের জন্য ম্যাঙ্গো স্পেশাল ট্রেন চালু, রাজশাহী-ঢাকা রুটে একাধিক ও রাজশাহী-কক্সবাজার রুটে ফ্লাইট প্রথমবারের মতো চালু করা হয়েছে। এছাড়া রাজশাহী-পঞ্চগড়, রাজশাহী-গোপালগঞ্জ ট্রেন চালু করা হয়েছে। রহনপুর-রাজশাহী-ঈশ্বরদী পর্যন্ত ট্রেন চালু করা হয়েছে।

ধর্মীয় অবকাঠামো উন্নয়ন
রাজশাহী মহানগরীর ৪৩টি গোরস্থানে মাটি ভরাট, দৃষ্টিনন্দন ফটক, বাউন্ডারি ওয়াল, জানাজা শেড, ওযুখানা ও ওয়াকওয়ে নির্মাণ করা হয়েছে। ২৮টি ঈদগাহের মাটি ভরাট, দৃষ্টিনন্দন ফটক, মেহরাব, বাউন্ডারি ওয়াল নির্মাণ করা হয়েছে। পঞ্চবটি মহাশ্মশান ও মন্দির কমপ্লেক্সের উন্নয়ন দৃশ্যমান। উপশহরে মডেল মসজিদ নির্মিত হয়েছে। ঈমাম ও মুয়াজ্জিনদের উৎসবভাতা প্রদান করেছে রাসিক।

বিনোদনকেন্দ্রের উন্নয়ন
শেখ রাসেল শিশুপার্ক নির্মাণের মধ্যে দিয়ে শিশুদের চিত্তবিনোদনের নতুন দ্বার উন্মোচন। শহীদ এ.এইচ.এম কামারুজ্জামান কেন্দ্রীয় উদ্যান ও চিড়িয়াখানার সংস্কার ও উন্নয়ন এবং বঙ্গবন্ধু নভোথিয়েটার, পদ্মা নদীর তীরকে ঘিরে পর্যটন স্পট হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে দুইটি দৃষ্টিনন্দন সেতু ও ওয়াকওয়ে নির্মাণ, বিচ বাইক ও বিচ চেয়ার সংযোজন, লালন শাহ পার্ক ও ঐতিহাসিক ভুবনমোহন পার্কের উন্নয়ন করা হয়েছে।

শিল্পায়ন ও কর্মসংস্থান
রাজশাহীতে প্রায় ১৪ হাজার তরুণ-তরুণীর কর্মসংস্থানের লক্ষ্যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব হাইটেক পার্কের কার্যক্রম শুরু হয়েছে। বিসিক শিল্প নগরী-২ এর নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে। এখানে প্রায় ১০ হাজার মানুষের কর্মসংস্থান সম্ভব হবে। চামড়া শিল্প পার্ক প্রতিষ্ঠার কাজ চলমান রয়েছে। রাসিকের রাজস্ব আয় বৃদ্ধি করতে পিপিপি-র আওতায় বিভিন্ন বহুতল ভবন নির্মাণ কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। ইতোমধ্যেই সিটি সেন্টার চালু হয়েছে। উদ্বোধনের অপেক্ষায় রয়েছে স্বপ্নচূড়া প্লাজা। সিমলাসহ বিভিন্ন মার্কেটে দোকান বরাদ্দ চলছে।
রাজশাহীতে আন্তর্জাতিক নৌবন্দর স্থাপনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। ভারতের মুর্শিদাবাদের ধূলিয়ান ও মায়া হতে রাজশাহী থেকে পাবনা ঈশ্বরদী হয়ে আরিচা পর্যন্ত নৌ-রুট চালু হলে এ অঞ্চলের অর্থনীতি গতিশীল ও ব্যবসা-বাণিজ্যের ব্যাপক প্রসার ঘটবে এবং নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে। এছাড়াও শহরের প্রশস্ত সড়ক ও ব্যাপক অবকাঠামো উন্নয়নের ফলে নগরীতে গত ৪ বছরে অনেক নতুন ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান বৃদ্ধি পেয়েছে।

শিক্ষা
রাজশাহী মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এর নির্মাণ প্রকল্প অনুমোদন করেছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা। ৬৮ একর ভূমি অধিগ্রহণের জন্য একনেকে ১৮৬৭ কোটি টাকার অধিক বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। নগরীর ছোট বনগ্রাম ও বড় বনগ্রামে নতুন দুটি সরকারি বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা ও রাজশাহীতে হলিক্রস স্কুল এন্ড কলেজের শাখা খোলা হয়েছে। যুবকদের কারিগরী দক্ষতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে যুগোপযোগী ও অত্যাধুনিক ভকেশনাল ট্রেনিং ইনস্টিটিউট গড়ে তোলা হয়েছে। নগরীর বিভিন্ন স্কুলের ভবন ও বাউন্ডারি নির্মাণ এবং ৩টি কলেজ সরকারিকরণ করা হয়েছে। এছাড়া আরো কয়েকটি স্কুল-কলেজ জাতীয়করণে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।

স্বাস্থ্য
আমার ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় এবং আপনাদের সহযোগিতায় প্রতিষ্ঠিত শিশুদের জন্য রাজশাহী শিশু হাসপাতালের নতুন ভবন নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। এছাড়াও ১১টি নগর স্বাস্থ্য ও ৩টি মাতৃসদন কেন্দ্রের মাধ্যমে নগরবাসীকে স্বাস্থ্যসেবা প্রদান করা হচ্ছে, সমন্বিত টিকাদান (ইপিআই) কার্যক্রমের টানা ১১ বার দেশসেরা এবং জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধনে ২০২১ ও ২০২২ সালে দেশসেরা হওয়ার গৌরব অর্জন করেছে রাসিক।

আর্তমানবতার সেবা
রাজশাহী মহানগরীর উপকণ্ঠে কাটাখালী পৌরসভার কাপাসিয়ায় পক্ষঘাতগ্রস্থদের পুনর্বাসন কেন্দ্র (সিআরপি) আঞ্চলিক সেন্টার প্রতিষ্ঠায় পারিবারিক ১৫ বিঘা জমি দান করেছি। সিআরপি, রাজশাহীর শহীদ এ.এইচ.এম কামারুজ্জামান ও জাহানারা জামান সেন্টারে বছরে প্রায় ১২ হাজার রোগী চিকিৎসা ও পুনর্বাসন সেবা পাবে। ৪ বছর মেয়াদি বিএসসি ইন ফিজিওথেরাপি, বিএসসি ইন অকুপেশনাল থেরাপি, বিএসসি ইন স্পিচ ও ল্যাঙ্গুয়েজ থেরাপি কোর্স করতে পারবেন শিক্ষার্থীরা।

গত বছরে শীতার্ত মানুষের মাঝে প্রায় ১ লক্ষ কম্বল বিতরণ করা হয়েছে। সিলেট ও সুনামগঞ্জে বন্যার্তদের জন্য ৫ হাজার প্যাকেট খাদ্য সামগ্রী প্রদান করা হয় এবং রাজশাহী মহানগরীর অসচ্ছল ও মেধাবী অনেক শিক্ষার্থীর পড়াশোনার ব্যয়ভার বহন করা হচ্ছে।
শহর আলোকায়ন
মহানগরীর ১৯টি গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে হাইমাস্ট পোলে এলইডি বাতি, ৩৫ কিলোমিটার ফোর লেন সড়কে ডেকোরেটিভ পোল ও দৃষ্টিনন্দন বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী সড়কবাতি স্থাপন এবং ৩০টি ওয়ার্ডের পাড়া-মহল্লা ও অলিগলির সড়কে ২২,৭৮০টি পোলে এলইডি বাতির মাধ্যমে আলোকায়ন করা হয়েছে।

করোনাকালীন সহায়তা
মহামারি করোনার সময় লক্ষাধিক মানুষকে দফায় দফায় খাদ্য ও অর্থ সহায়তা, পর্যাপ্ত অক্সিজেন সিলিন্ডার দিয়ে বিনামূল্যে অক্সিজেন সেবা, করোনা আক্রান্ত গরিব ও অসহায় ব্যক্তিদের প্রয়োজনীয় ঔষধ ও খাদ্যসামগ্রী প্রদান করা হয়েছে। ঐ সময় রমজান মাসে নগরীর বিভিন্ন মোড়ে প্রতিদিন সহ¯্রাধিক মানুষকে ইফতারি, তৈরি খাবার ও ঈদের পূর্বে খাদ্যসামগ্রী সরবরাহ করা হয়।
রামেক হাসপাতালে ৪টি অত্যাধুনিক ভেন্টিলেটর উইথ হাইফ্লো ন্যাজাল ক্যানোলা প্রদান করে রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন। ১২টি কেন্দ্রে বিনামূল্যে র‌্যাপিড অ্যান্টিজেন পরীক্ষা, কোভিড-১৯ ভ্যাক্সসিন প্রদান, বাড়ি বাড়ি গিয়ে করোনা পরীক্ষার নমুনা সংগ্রহ, মাস্ক, হ্যান্ড স্যানিটাইজার বিতরণ করা হয়। নগরীর ২৭টি পয়েন্টে স্যানিটাইজার দিয়ে হাত ধোয়ার ব্যবস্থা এবং বিভিন্ন সড়ক ও হাট-বাজারসহ সর্বত্র জীবাণুনাশক স্প্রে করা হয়। এছাড়াও মৃতদেহ দাফন/সৎকারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করে রাসিক। রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের সাথে সমন্বয় করে করোনাকালে লকডাউনের সময় কাতার, ড্যানিশ, জার্মান রেডক্রসের মাধ্যমে বাংলাদেশ রেডক্রিসেন্ট রাজশাহী সিটি ইউনিট নি¤œআয়ের শ্রমজীবী মানুষের জন্য নানা ধরনের খাদ্যসামগ্রী, অক্সিজেন, কম্বল ও ঈদ উপহার সামগ্রী প্রদান করে।

বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল নির্মাণ ও অবকাঠামো উন্নয়ন
মুজিববর্ষে রাজশাহীতে একটি সুসজ্জিত চত্বরে দেশের সর্ববৃহৎ বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল নির্মাণ সম্পন্ন হয়েছে, বঙ্গবন্ধু নভোথিয়েটার নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হয়েছে, দ্রুত উদ্বোধন করা হবে। নগরীতে ১১টি পাবলিক টয়লেট, জনগুরুত্বপূর্ণ ৯টি স্থানে ফুটওভার ব্রিজ, শালবাগান, নওদাপাড়া ও ভদ্রা মোড়ে কাঁচাবাজার নির্মাণে দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে। আরো ৫টি নতুন ফ্লাইওভার নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। মহানগরীর সপুরা মঠপুকুর, ভদ্রা পারিজাত লেক ও কালীপুকুরের উন্নয়ন ও সৌন্দর্যবর্ধন কাজ সুসম্পন্ন হয়েছে। গুলজারবাগ লেক, সপুরা গোরস্থান, দড়িখরবোনা, পবা নতুনপাড়া, টিকাপাড়া গোরস্থান, বুলনপুর ঈদগাহ, টিবি পুকুরের উন্নয়ন ও সৌন্দর্যবর্ধন কাজ চলমান রয়েছে। এছাড়াও ২২টি জলাশয় সংরক্ষণ, সংস্কার ও সবুজায়নে নতুন প্রকল্প মন্ত্রণালয়ে দাখিল করা হয়েছে। রাজশাহী জজকোর্ট চত্বরে একটি সর্বাধুনিক পাবলিক টয়লেট নির্মাণ কাজ চলমান।

ক্রীড়া ও সংস্কৃতি
রাজশাহীতে বিকেএসপি প্রতিষ্ঠা, প্রতিবছর বঙ্গবন্ধু স্কুল ক্রিকেট টুর্নামেন্ট ও বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ ক্রিকেট টুর্নামেন্ট আয়োজন, নগরজুড়ে ক্রিকেট, ফুটবল, বক্সিং, জুডো- ক্যারাটেসহ নানা ধরনের খেলাধুলার আয়োজন করা হয়। এছাড়াও জাহানারা জামান মিনি স্টেডিয়াম নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হয়েছে ও একাধিক নতুন খেলার মাঠ তৈরির উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।

রাজশাহীতে বাংলাদেশ ভারত ৫ম সাংস্কৃতিক মিলনমেলা, সপ্তাহব্যাপী বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সাংস্কৃতিক উৎসব আয়োজন করা হয়েছে। মহানগরীর শিল্প-সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলোকে গতিশীল রাখতে পৃষ্ঠপোষকতা ও সংস্কৃতিচর্চা বৃদ্ধি করতে সর্বাত্মক সহযোগিতা এবং দেশের বিশিষ্ট গুণীজনদের সংবর্ধনা প্রদান করা হয়েছে।

আরো যা কিছু করতে চাই

০১. ব্যাপক কর্মসংস্থান এবং বেকারত্ব হ্রাস ও উদ্যোক্তা সৃষ্টি।
০২. অর্থনৈতিক-সামাজিক-মানবিক শান্তিময় ও সমৃদ্ধ মহানগরী গড়ে তোলা।
০৩. এই মহানগরীকে সমগ্র বরেন্দ্র অঞ্চলভিত্তিক আকর্ষণীয় পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে প্রতিষ্ঠা করা।
০৪. শিক্ষা ও সংস্কৃতি সমৃদ্ধ মহানগরীর বিশেষত্ব অর্জন।
০৫. মহানগরীর ভৌগোলিক আয়তন ৯৬ বর্গকিলোমিটার থেকে ৩৫০ বর্গকিলোমিটার পর্যন্ত সম্প্রসারণ।
০৬. রাজশাহী শহরের পাশে জেগে উঠা পদ্মার চরে রিভারসিটি নির্মাণ।

দক্ষমানবসম্পদ সৃষ্টির জন্য শিক্ষাক্ষেত্রে উন্নয়ন
আমরা চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের যুগে প্রবেশ করেছি। কৃত্রিম মেধা দিয়ে যন্ত্রের মাধ্যমে সকল কাজ সম্পাদন করার জন্য উন্নতবিশ্ব পরিকল্পনা করেছে। বাংলাদেশের মতো ঘনবসতিপূর্ণ দেশসমূহ থেকে উন্নত দেশগুলো কর্মী আহ্বান করে থাকে। কিন্তু ভারত, শ্রীলঙ্কা, ফিলিপাইন থেকে যে পরিমাণ শ্রম বিদেশে বিনিয়োগ হয়, বাংলাদেশ সেই সঙ্গে তাল মেলাতে পারছে না। কারণ, দক্ষমানবসম্পদ সৃষ্টির লক্ষ্যে শিক্ষাকে যুগোপযোগী করার ক্ষেত্রে আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন করা জরুরি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জেলায় জেলায় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করেছেনÑ একটি দক্ষমানবসম্পদ সৃষ্টির লক্ষ্যে। আমাদের ভবিষ্যত প্রজন্ম বিশ্বপ্রতিযোগিতায় যেন পিছিয়ে না পড়ে তাই এই শিল্প বিপ্লবের সঙ্গে আমরাও সামিল হতে চাই। এই মহানগরীতে শিক্ষার বুনিয়াদ সমৃদ্ধ হলেও জনসংখ্যার অনুপাতে আরো প্রতিষ্ঠান ও সমন্বিত শিক্ষা চালু করতে আমি নি¤েœাক্ত পরিকল্পনা ও প্রকল্প গ্রহণ করবো।
০১. রাজশাহীতে পুর্ণাঙ্গ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা।
০২. ব্রিটিশ অথবা আমেরিকান কারিকুলামের আদলে রাজশাহীতে একটি ইংলিশ মাধ্যম ‘ও’ লেভেল, ‘এ’ লেভেল পর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান স্থাপন। যেন আমাদের দেশের শিক্ষার্থীসহ বহির্বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরাও এই শহরে লেখাপড়ায় আগ্রহী হয় তার জন্য প্রকল্প গ্রহণ ও বাস্তবায়ন।
০৩. মাধ্যমিক পর্যায়ে দুইটি সরকারি স্কুল প্রতিষ্ঠার কাজ চলমান। দ্রুততম সময়ে স্কুল দুটো চালুকরণের ব্যবস্থা গ্রহণ।
০৪. উচ্চমাধ্যমিক স্তরের শিক্ষার জন্য একটি গার্লস ক্যাডেট কলেজ স্থাপন।
০৫. কারিগরি শিক্ষার জন্য স্বল্পমেয়াদি কোর্স চালু করে কম্পিউটার, ভোকেশনাল, নার্সিং প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা গ্রহণ এবং একটি পূর্ণাঙ্গ কারিগরি ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠা করা হবে। ইংরেজি, আরবী, কোরিয়ান ও জাপানী ভাষা শিক্ষার জন্য ভাষা প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট গড়ে তোলা হবে।
০৬. রাজশাহীতে সঙ্গীত, নাট্য ও নৃত্যকলার সমন্বয়ে একটি ললিতকলা একাডেমি প্রতিষ্ঠা।
০৭. নগরীতে একটি আর্কাইভ, আর্ট গ্যালারি ও সিটি মিউজিয়াম স্থাপন করা হবে।

স্বাস্থ্যসেবা
সারাবিশ্ব করোনা মহামারিতে বিপর্যস্ত হয়ে আমাদের স্বাস্থ্য পরিসেবার সীমাবদ্ধতা ইঙ্গিত করে গেছে। বাংলাদেশের উত্তর ও দক্ষিণাঞ্চলের অনেক জেলা থেকেই চিকিৎসা নিতে মানুষ ছুটে আসেন এই শহরে। এই বিশাল জনপদের মানুষের আশা ভরসার স্থান রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল। এই ক্ষেত্রে দিন দিন চাপ বাড়ছে, চিকিৎসাসেবার প্রাতিষ্ঠানিক সম্প্রসারণ ও নতুন প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা সময়ের দাবি। চিকিৎসাব্যবস্থা উন্নত না করলে আধুনিক উন্নত চিকিৎসা নিতে মানুষ পার্শ্ববর্তী দেশ বা অন্যান্য দেশের উপর নির্ভরশীল হয়ে পড়ছে। অথচ প্রতিবছর এই নগরীর মেডিকেল কলেজসমূহ থেকে শত শত ডাক্তার এম.বি.বি.এস সনদ পাচ্ছেন। তাদের উচ্চশিক্ষা, গবেষণা ও বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক তৈরি করতে প্রাতিষ্ঠানিক সুবিধা প্রসারিত হয়নি।
আমি দেশি ও বিদেশি সংস্থাকে সম্পৃক্ত করে এই খাতকে আরো সমৃদ্ধ করতে চাই। মানুষ যেন নিরাপদ ও পরিচ্ছন্ন পরিবেশ, নিরাপদ খাদ্য, নিরাপদ পানি এবং পরিসেবা পায় তার জন্য আমার সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে। এই লক্ষ্যে স্বাস্থ্যসেবা খাতে নি¤েœাক্ত কর্মসূচি গ্রহণ করা হবে।
০১. রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়কে যুগপোযোগী করে গড়ে তোলা হবে।
০২. নবনির্মিত শিশু হাসপাতালটি দ্রুত চালু করে শিশু চিকিৎসা উন্নত করা হবে।
০৩. সিটি হাসপাতালের আধুুনিকায়নের মাধ্যমে নগরীর পূর্বাঞ্চলের নাগরিক ও শিশুদের চিকিৎসা সেবা উন্নত করা হবে।
০৪. ওয়ার্ডভিত্তিক আরবান হেলথ কেয়ার বা নগর স্বাস্থ্যসেবা গড়ে তোলার উদ্যোগ নেয়া হবে।
০৫. নাগরিকগণের প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবাকে অনলাইনের আওতায় আনার উদ্যোগ নেয়া হবে।
০৬. রাজশাহীস্থ হার্ট ফাউন্ডেশনকে একটি পূর্ণাঙ্গ হৃদরোগ হাসপাতালে উন্নীত করার উদ্যোগ নেয়া হবে।
০৭. সাধারণ রোগ নির্ণয় ও চিকিৎসার লক্ষ্যে বন্ধ হয়ে যাওয়া সদর হাসপাতালটি পূর্ণাঙ্গ হাসপাতালে উন্নীত করে পুনরায় চালু করার উদ্যোগ নেয়া হবে।
০৮. রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউ সুবিধা সম্প্রসারণ করা হবে।
০৯. রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে উন্নতমানের সেবার জন্য আধুনিক কেবিনের সংখ্যা বৃদ্ধি ও সকল সুযোগ সুবিধা বৃদ্ধি করা হবে।
১০. রাজশাহী মেডিকেল কলেজের কার্ডিওলজি ইউনিটের সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য এনজিওগ্রাম, পেসমেকার স্থাপন, কালার ড্রপলারসহ সকল আধুনিক সুবিধা নিশ্চিত করার উদ্যোগ নেয়া হবে।
১১. রাজশাহীতে পূর্ণাঙ্গ ক্যানসার হাসপাতাল স্থাপন করার উদ্যোগ নেয়া হবে।
১২. আধুনিক ও বিশেষায়িত চিকিৎসার জন্য বেসরকারি উদ্যোগে একটি স্পেশালাইজড হাসপাতাল নির্মাণের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হবে।
১৩. রাজশাহী হোমিওপ্যাথি মেডিকেল কলেজের সম্প্রসারণ ও উন্নয়নের উদ্যোগ নেয়া হবে।
১৪. একটি পূর্ণাঙ্গ ডেন্টাল কলেজ স্থাপনের উদ্যোগ নেয়া হবে।
১৫. কার্ডিও ভাসকুলার ও গ্যাস্ট্রোএন্টারোলজি চিকিৎসা হাসপাতাল স্থাপনের উদ্যোগ নেয়া হবে।
১৬. ফরমালিনমুক্ত ও নিরাপদ খাদ্য বাজারব্যবস্থা গড়ে তোলা হবে।
১৭. বর্জ্য ও ড্রেনেজ ব্যবস্থাপনা আরও উন্নত করা হবে। আধুনিক বর্জ্য রিসাইকেলিং প্লান্ট স্থাপনের মাধ্যমে নগরীর ডাম্পিংকৃত বর্জ্য অপসারণের উদ্যোগ নেয়া হবে। নতুন একটি ডাম্পিং স্টেশন ও রিসাইক্লিং প্ল্যান্ট নগরীর উত্তর প্রান্তে স্থাপনের জন্য প্রকল্প জমা দেয়া হয়েছে।
১৮. নগরীর ব্যস্ততম এলাকায় ১২টি পাবলিক টয়লেট বা গণশৌচাগার নির্মাণ ও আধুনিকায়ন করা হবে।

শিল্প-ব্যবসা বাণিজ্য, যোগাযোগ ব্যবস্থা ও অবকাঠামো উন্নয়ন
রাজশাহী শহরের আন্তঃথানা, আন্তঃজেলা, আন্তঃমহানগর ও বহির্দেশীয় যোগাযোগের ক্ষেত্র সম্প্র্রসারণ করা আমার লক্ষ্য। যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নততর না হলে অর্থনৈতিক, বাণিজ্যিক ও সকল প্রকার সামাজিক ব্যবস্থাপনা ব্যাহত হয়। আমি এই বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করি। কারণ কৃষিকেন্দ্রিক এই জনপদে শিল্প, ব্যবসা বাণিজ্য গড়ে না উঠলে উন্নয়ন লক্ষমাত্রা অর্জন বিঘিœত হবে। সেই বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে শিল্প-ব্যবসা-বাণিজ্য ও যোগাযোগ ব্যবস্থাকে সম্প্রসারণ করে রাজশাহী মহানগরীর সমৃদ্ধি আনা আমার লক্ষ্য। এই লক্ষ্যে নি¤েœাক্ত কর্মসূচি গ্রহণ করা হবে।
০১. সোনামসজিদ-রাজশাহী-বনপাড়া-হাটিকুমরোল পর্যন্ত সড়ক ৪ লেনে উন্নীতকরণ।
০২. কাশিয়াডাঙ্গা-কাঠালবাড়িয়া হয়ে কোর্টের ঢালান মোড় পর্যন্ত ৪ লেনের রাস্তা দ্রুত সম্পন্ন করা হবে।
০৩. রাজশাহী থেকে চট্টগ্রাম বন্দর পর্যন্ত ট্রেন চালুর উদ্যোগ নেয়া হবে। রাজশাহী-আব্দুলপুর রেলপথ ডুয়েল গেজে উন্নীত করার উদ্যোগ নেয়া হবে। ০৪. রাজশাহী-খুলনা-মোংলা-পোর্ট সংযোগ গড়ে তুলতে আরো একটি আন্তঃমহানগর যাত্রী ও মালবাহী ট্রেন চালু করা হবে। যাতে করে বহির্দেশীয় বাণিজ্যে আমদানি-রপ্তানি সহজীকরণ সম্ভব হয়।
০৫. রাজশাহী থেকে গোদাগাড়ীর সুলতানগঞ্জ ঘাট হয়ে ভারতের ধূলিয়ান ও মায়া পর্যন্ত নৌবন্দর চালু করে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য এবং নতুন যোগাযোগ স্থাপন করা হবে।
০৬. রাজশাহী টু কলকাতা ট্রেন ও রাজশাহী টু কলকাতা বিমান এবং রাজশাহী টু কলকাতা সরাসরি বাস সার্ভিস চালু করা হবে। এছাড়াও রাজশাহী থেকে রহনপুর হয়ে পশ্চিমবঙ্গের উত্তরাঞ্চল দিয়ে নেপাল পর্যন্ত ট্রেন যোগাযোগের উদ্যোগ নেয়া হবে।
০৭. রাজশাহী বিমানবন্দর সম্প্রসারণ কাজ চলমান। রাজশাহী-কক্সবাজার বিমান যোগাযোগ ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে। প্রয়োজনে সাপ্তাহিক ট্রিপ বৃদ্ধি করা হবে।
০৮. রাজশাহী বিমানবন্দর থেকে কার্গো বিমান চালুর মাধ্যমে মধ্যপ্রাচ্য ও অন্যান্য দেশে রাজশাহী অঞ্চলের কৃষিজাতপণ্য, শিল্পজাতপণ্য রপ্তানির ব্যবস্থা করা হবে। এর জন্য কনটেইনার অবকাঠামো গড়ে তোলা হবে। রাত্রিকালীন বিমান ওঠানামার জন্য বিমানবন্দরের প্রয়োজনীয় অবকাঠামো নির্মাণ ও আলোকায়নের ব্যবস্থা করা হবে।
০৯. সিটি অ্যাপস চালু করে নগর পরিসেবা সংক্রান্ত বিষয়ে নগরবাসীর পরামর্শ ও মতামত গ্রহণ করার উদ্যোগ নেয়া হবে।
১০. নগরীতে ২টি ফ্লাইওভার নির্মাণ করা হয়েছে। নতুন আরো ৫টি নির্মাণ করা হবে।
১১. রাজশাহী বিসিক-২ এ শিল্প কলকারখানা স্থাপন ও দ্রুত চালু করার উদ্যোগ নেয়া হবে।
১২. ট্যানারি শিল্প ও লেদার ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক স্থাপন করা হবে।
১৩. রাজশাহীতে মাঝারি, কুটিরশিল্প ও ব্যক্তি উদ্যোক্তাদের উৎপাদিত পণ্য বাজারজাতকরণের লক্ষ্যে স্থায়ী পণ্যমেলা প্রাঙ্গণ চালু করা হবে।
১৪. আম ও অন্যান্য ফলমূলসহ উৎপাদিত কৃষিজাত পণ্য সংরক্ষণ ও বিপণনের জন্য প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা নেয়া হবে।
১৫. ব্যবসা-বাণিজ্য ও শিল্প ক্ষেত্রে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ বৃদ্ধি করার উদ্যোগ নেয়া হবে।
১৬. ব্যবসাবান্ধব নিরাপদ পরিবেশ বা নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করা হবে। যেন বিদেশি বিনিয়োগকারীগণও বিনিয়োগে উদ্বুদ্ধ হন।
১৭. বাজার ব্যবস্থাপনার জন্য ব্যবসায়ী, জনগণ ও প্রশাসনের সমন্বিত উদ্যোগ গ্রহণের ব্যবস্থা করা হবে। এসএমই ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে ক্ষুদ্র ও মাঝারী ব্যবসায়ী ও উদ্যোক্তাদের ঋণ পাওয়ার ক্ষেত্রে সহায়তা করা হবে।
১৮. মহানগরীর সকল বাজারের পরিচ্ছন্নতা ও স্বাস্থ্যকর পরিবেশ নিশ্চিত করা হবে।
১৯. মহানগরীর বাজার ও অন্যান্য ভবনে অগ্নিনির্বাপণের জন্য পর্যাপ্ত ব্যবস্থা গ্রহণ এবং বহুতল ভবনে অগ্নিনির্বাপণের জন্য ল্যাডার মেশিনসহ রাজশাহী ফায়ার সার্ভিসের অন্যান্য সক্ষমতা বৃদ্ধি করার উদ্যোগ নেয়া হবে।
২০. পিপিপির-আওতায় বহুতল বাজারের নির্মাণকাজ দ্রুত সমাপ্ত করা এবং সাহেব বাজার, তালাইমারি, বিনোদপুর, লক্ষীপুর, কোটর্, নওদাপাড়া, শালবাগান, ভদ্রা ও অন্যান্য সমস্ত বাণিজ্যিক এলাকায় নতুন বহুতল বাণিজ্যিক ভবন নির্মাণের উদ্যোগ নেয়া হবে।
২১. নওদাপাড়ার সন্নিকটে একটি পাইকারি সবজি ও মৎস্য বাজার গড়ে তোলা হবে।
২২. সরকারি সহায়তায় স্বল্প আয়ের মানুষের আবাসন সমস্যা নিরসনের জন্য ৫০০/৬০০ বর্গফুটের বহুতল ভবন নির্মাণ করা হবে।
২৩ নগরীর বিভিন্ন মৌজায় খাসজমি চিহ্নিত করণ ও তালিকা তৈরি করা হবে।
২৪. রাজশাহীর পর্যটন মোটেলকে স্টার মানে উন্নীত করা হবে। নতুন নতুন স্টার মানের হোটেল, মোটেল, রিসোর্ট সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগে সমন্বয়ের মাধ্যমে স্থাপন করা হবে।
২৫. প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে নগরীতে একটি কেন্দ্রীয় স্লটার হাউজ নির্মাণের উদ্যোগ নেয়া হবে। এছাড়াও নগরীর শহরতলীতে ছোট ছোট স্লটার হাউজ স্থাপন করা হবে।
২৬. সাহেববাজার জিরোপয়েন্ট, বরেন্দ্র মিউজিয়াম, ফায়ারব্রিগেড, সদর হাসপাতাল, ঘোষপাড়া, চৌদ্দপাই মোড় প্রশস্তকরণের উদ্যোগ নেয়া হবে।
২৭. একটি জিলেটিন ফ্যাক্টরি তৈরি করার উদ্যোগ নেয়া হবে।
২৮. অটোরিক্সা স্ট্যান্ড নির্মাণের উদ্যোগ নেয়া হবে।
২৯. প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সুপেয় পানির ব্যবস্থা করা হবে।

ক্রীড়া-সংস্কৃতি ও মননচর্চার ক্ষেত্র সম্প্রসারণ
০১. রাজশাহীতে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ভেন্যু পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়নের উদ্যোগ অব্যাহত রাখা হবে।
০২. খেলাধুলার জন্য বিকেএসপির চলমান কাজ দ্রুত সম্পন্ন করা হবে।
০৩. জাতীয় প্রিমিয়ার ডিভিশন ফুটবল লীগ নিয়মিত চালু রাখা হবে।
০৪. মহিলা ক্রীড়া কমপ্লেক্সকে স্টেডিয়ামসহ পূর্ণাঙ্গ ক্রীড়া কমপ্লেক্স হিসেবে গড়ে তোলার কাজ অব্যাহত রাখা হবে। ০৫. বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সালাম টেনিস কমপ্লেক্সসহ মহানগরীতে একাধিক জিমনেসিয়াম ও ইনডোর ক্রীড়া কমপ্লেক্সে উন্নয়ন করা হবে।
০৬. মহানগরীর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের খেলার মাঠগুলো সারা বছরব্যাপী খেলার উপযোগী করে রাখা ও বিভিন্ন টুর্নামেন্টের আয়োজন করা হবে।
০৭. মিয়াপাড়াস্থ রাজশাহী সাধারণ গ্রন্থাগারের নির্মাণাধীন ভবনটি দ্রুত নির্মাণ কাজ সমাপ্ত করে কার্যক্রম চালু করা হবে।
০৮. নগরীর প্রতিটি ওয়ার্ডে একটি করে বহুমুখী সুবিধাসম্পন্ন নাগরিক কেন্দ্র গড়ে তোলা হবে, যেখানে কাউন্সিলরগণের স্থায়ী কার্যালয় থাকবে এবং অডিটোরিয়াম ও কমিউনিটি সেন্টারের ব্যবস্থা থাকবে।
০৯. রাজশাহী নগরীর প্রগতিশীল বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠনকে পৃষ্ঠপোষকতা প্রদান করা হবে।
১০. নগরীতে ইতোমধ্যে প্রতিষ্ঠিত গ্রন্থাগারগুলোর তত্ত্বাবধান ও প্রণোদনা প্রদান করা হবে।
১১. জীবনানন্দ মেলা, নাট্যোৎসব, কান্তকবির মেলাসহ অন্যান্য নিয়মিত সামাজিক সাংস্কৃতিক আয়োজনের মাধ্যমে নগরীর সাংস্কৃতিক আবহকে প্রাণবন্ত রাখা হবে।
১২. রাজশাহী রেডিও সেন্টারের উন্নয়ন ও আধুনিকায়ন করা হবে।
১৩. রাজশাহীতে একটি পূর্ণাঙ্গ আঞ্চলিক টেলিভিশন কেন্দ্র স্থাপনের উদ্যোগ নেয়া হবে।
১৪. ইন্টারনেট সংযোগ ক্যাবলগুলো বৈদ্যুতিক পোল-এ দৃষ্টিকটূভাবে ঝুলে থাকায় সেগুলো সিস্টেমে নিয়ে আসার উদ্যোগ নেয়া হবে।

ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান ও সামাজিক উদ্যোগ
০১. রাজশাহী বিভাগীয় মডেল মসজিদ মেহেরচন্ডীতে স্থাপন করা হবে।
০২. মাদ্রাসা মাঠের সম্প্রসারণ করা হবে।
০৩. নগরীর উত্তর-পশ্চিম ও উত্তর-পূর্ব দিকে ২টি গোরস্থান তৈরি করা হবে।
০৪. ধর্মসভা ও হনুমানজি আখড়ায় ২টি দৃষ্টিনন্দন মন্দির নির্মাণ করা হবে।
০৫. যুবসমাজের অবক্ষয়রোধে মাদক নিয়ন্ত্রণের জন্য কার্যকর ব্যবস্থা নেয়া হবে।

জলবায়ু পরিবেশ ও বিনোদন অবকাঠামো উন্নয়ন
০১. ব্যাপক বৃক্ষরোপণ ও পদ্মাতীর ঘেঁষে সবুজ বেস্টনি স্থাপন।
০২. নদীর চর ও অন্যান্য খাসজমিতে বনায়নের উদ্যোগ গ্রহণ।
০৩. নগরীতে ওয়ার্ডভিত্তিক শিশুপার্ক নির্মাণ।
০৪. বাংলাদেশ বিল্ডিং কোড যথাযথভাবে অনুসরণের জন্য নাগরিকগণকে উদ্বুদ্ধকরণ।
০৫. শেখ রাসেল শিশু পার্ক, শহীদ এ.এইচ.এম কামারুজ্জামান কেন্দ্রীয় উদ্যান ও চিড়িয়াখানা, শহীদ ক্যাপ্টেন মনসুর আলী পার্কসহ সকল উদ্যানের উন্নয়ন প্রকল্প দ্রুত বাস্তবায়ন।
০৬. উষ্ণায়ন ও চরম আবহাওয়ায় জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ এবং নগরবাসীর জীবন যাত্রার অনুকূল পরিবেশ রক্ষার জন্য বিশেষজ্ঞগণের সুপারিশক্রমে কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে।
০৭. মিনি সাফারি পার্ক ও এভিয়ারি নির্মাণের উদ্যোগ নেয়া হবে।

প্রতিবন্ধী ও অনগ্রসর শ্রেণির মানুষের উন্নয়ন প্রণোদনা
০১. প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে জাতীয় শিক্ষানীতি অনুযায়ী প্রতিবন্ধীবান্ধব পরিবেশ ও অবকাঠামো বাস্তবায়ন নিশ্চিত করা।
০২. প্রতিটি স্বাস্থ্যকেন্দ্র ও হাসপাতালে প্রতিবন্ধীদের চিকিৎসার জন্য জাতীয় নীতি কঠোরভাবে বাস্তবায়ন করা।
০৩. প্রতিবন্ধীদের জন্য পৃথক ক্রীড়া ও সংস্কৃতি চর্চাকেন্দ্র স্থাপন।
০৫. রাষ্ট্রীয় সহায়তায় আশ্রয়নের সুবিধাসহ অটিস্টিক শিশুদের জন্য শিক্ষা ও সেবামূলক প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার উদ্যোগ নেয়া হবে।

মুক্তিযুদ্ধ ও ঐতিহ্য সংরক্ষণ
০১. রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন ও পার্শ্ববর্তী এলাকার গণকবরসমূহ চিহ্নিত করে গণকবর সংরক্ষণের কাজ অব্যাহত রাখা।
০২. ইতিহাস ও ঐতিহ্য সংরক্ষণে মহান মুক্তিযুদ্ধের শহীদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও সংগঠক এবং বিশিষ্ট নাগরিকদের নামে রাস্তা-ঘাট, মোড় ও স্থাপনার নামকরণ করা হবে।
০৩. সোনাদিঘী সিটি সেন্টারের পাশে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার নির্মাণের কাজ দ্রুত বাস্তবায়ন করা হবে।
০৪. রাজশাহী রেলস্টেশন, বিমানবন্দর ও সড়কের মোড়ে মোড়ে বরেন্দ্র অঞ্চলের ইতিহাস ও ঐতিহ্য স্মারক স্থাপন করা হবে।
০৫. হযরত শাহ মখদুম রূপোশ (রহ.) এর রওজা কমপ্লেক্স সম্প্রসারণ কাজ দ্রুত সম্পন্ন করা হবে।
০৬. জাতীয় নেতা শহীদ এএইচএম কামারুজ্জামান সমাধি কমপ্লেক্স নির্মাণ কাজ দ্রুত বাস্তবায়ন করা হবে।

প্রবীণ ও শিশুদের জন্য বিশেষ প্রণোদনা
০১. নগরীর হাসপাতালসহ সরকারি ও বেসরকারি সকল দপ্তরে প্রবীণদের জন্য বিশেষ হেল্প ডেস্ক স্থাপন।
০২. রাষ্ট্রীয় সহায়তায় রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের তত্ত্বাবধানে আধুনিক সুযোগ সুবিধা সংবলিত প্রবীণ নিবাস স্থাপনের উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে।
০৩. প্রত্যেকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিশু-কিশোরদের বিনোদন ও মানসিক স্বাস্থ্য গঠনের লক্ষ্যে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধানদের সঙ্গে আলোচনা সাপেক্ষে উদ্বুদ্ধকরণ এবং কাউন্সিলিং সেল গঠন করা হবে। এছাড়াও জন্মনিবন্ধন ও শিশু জরিপের মাধ্যমে টিকাদান সুনিশ্চিত করা হবে।
০৪. কৃতি শিক্ষার্থীরদের নিয়মিত সংবর্ধনা ও পুরস্কার প্রদান অব্যাহত রাখা হবে।
০৫. নগরীর সকল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়কে মানসম্মত ও লেখাপড়ার উপযোগী করে গড়ে তুলে প্রাথমিক শিক্ষার সংকট নিরসনে উদ্যোগ নেয়া হবে।

সামাজিক সুরক্ষা ও নারী উন্নয়ন
০১. নারীর প্রতি সহিংসতা রোধের লক্ষ্যে ওয়ার্ডভিত্তিক সামাজিক উদ্যোগ গ্রহণ করে সর্বত্র মা-বোনদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।
০২. নারীর আত্মকর্মসংস্থান ও স্বনির্ভরতা সৃষ্টির লক্ষ্যে সিডিসি ও সমাজকল্যাণ দপ্তরের সহায়তায় নারীদের কারিগরি প্রশিক্ষণ, আইটি ভিত্তিক উদ্যোগ, কুটিরশিল্প ও হস্তশিল্প স্থাপন ও বিপণনের জন্য সমন্বিত পরিকল্পনা গ্রহণ করা হবে।
০৩. বাল্যবিবাহ রোধে কার্যকর পদক্ষেপ নেয়া হবে।

সম্মানিত নগরবাসী
বাংলাদেশ সারাবিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে স্বীকৃতি অর্জন করেছে। ২০৪১ সালে উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশের অগ্রযাত্রায় সামিল হয়ে রাজশাহী মহানগরীকে যোগ্য অংশীদার হিসেবে গড়ে তুলতে চাই। সেই লক্ষ্যে আমার নির্বাচনী ইশতেহারে উন্নয়ন প্রকল্পের রূপরেখার প্রতি আপনাদের সমর্থন ও অংশগ্রহণ প্রত্যাশা করি। এই অঙ্গীকার সামনে নিয়ে আমি মেয়র পদপ্রার্থী। নিজেকে এই অঙ্গীকারের বিশ্বাসযোগ্য ও আস্থাভাজন বলে মনে করি। রাজশাহীর মহানগরীর সর্বাত্মক উন্নয়ন, পরিবেশ এবং সৌন্দর্য তার সাক্ষী। একই সঙ্গে আমার ধমনীতে বহন করি মহান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সিপাহসালার শহীদ এ.এইচ.এম কামারুজ্জামানের উত্তরাধিকার। আমি এই মাটিরই সন্তান।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যা দেশরতœ জননেত্রী শেখ হাসিনার ¯েœহধন্য এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটন আপনাদের অকুণ্ঠ সমর্থন প্রত্যাশা করে। আমি বিশ্বাস করি রাজশাহীবাসী উন্নয়নের পক্ষে।
তাই আসুন, আমরা মতভেদ ভুলে নগরীর উন্নয়নের স্বার্থে ঐক্যবদ্ধ হই। আগামী ২১ জুন ২০২৩ অনুষ্ঠিতব্য সিটি নির্বাচনে মেয়র পদে আমাকে নৌকা প্রতীকে ভোট দিয়ে পুনঃনির্বাচিত করে আপনিও হয়ে উঠুন মেগাসিটি বিনির্মাণ অভিযাত্রার গর্বিত অংশীদার। সকলের জন্য শুভকামনা। বিজয়ের অগ্রযাত্রায় আমরা এগিয়ে যাবো মিলিত পদক্ষেপে অনেক দূরে সমৃদ্ধির পথে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *