ভয়ংকর পরিকল্পনা নিয়ে এগোচ্ছিল জঙ্গি সংগঠন জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়া
পর্ব-১
রাজশাহী প্রতিনিধি :- একই কায়দায় জামায়াতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশ (জেএমবি) মত একই কৌশলে বড় ধরনের জঙ্গি হামলা চালিয়ে নিজেদের জানান ও আত্মপ্রকাশ করতে চেয়ে ছিলো এবং তা চলতি বছরের মধ্যে দেশে বড় ধরনের ঘটনা ঘটিয়ে আত্মপ্রকাশের পরিকল্পনা নিয়ে এগোচ্ছিল নতুন জঙ্গি সংগঠন জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়া।
যেমনটি ২০০৫ সালের ১৭ আগস্ট সারা দেশে ৬৩ জেলায় একযোগে বোমা হামলা চালিয়ে এবং বোমার সঙ্গে প্রচারপত্র দিয়ে আত্মপ্রকাশ করেছিল। আইএস দাবি করে, দেশীয় জঙ্গিগোষ্ঠী নব্য জেএমবিও ২০১৬ সালে হোলি আর্টিজান বেকারিতে ভয়ংকর জঙ্গি হামলা চালিয়ে নিজেদের জানান দিয়েছিল। হামলার ছবি ইন্টারনেটে ছেড়ে ঘটনার দায় স্বীকারও করেছিল তারা।
যদিও উভয় সংগঠনই হামলার পরপর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর টানা অভিযানের মুখে তছনছ হয়ে যায়।
জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়া নামের এই নতুন জঙ্গিগোষ্ঠী সংগঠিত হতে শুরু করে ২০১৭ সালে। নিষিদ্ধ তিন জঙ্গি সংগঠন আনসার আল ইসলাম, জেএমবি ও হরকাতুল জিহাদের সাবেক কয়েকজন এর উদ্যোক্তা।
তাঁরা ২০১৯ সালে সংগঠনের নাম ঠিক করেন জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়া (যার বাংলা অর্থ: পূর্ববর্তী হিন্দের সাহায্যকারী দল)। এর আগে থেকেই বিভিন্ন এলাকায় তারা সদস্য সংগ্রহ শুরু করে।
সূত্র জানায়, এই জঙ্গিগোষ্ঠী সদস্যদের প্রশিক্ষণের লক্ষ্যে নতুন সশস্ত্র গোষ্ঠী কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) সঙ্গে যোগাযোগ গড়ে তুলে। টাকার বিনিময়ে কেএনএফ বাংলাদেশের জামাতুল আনসারের সদস্যদের প্রশিক্ষণের জন্য চুক্তিবদ্ধ হয়।
সূত্র আরো জানায়, ২০২১ সালের শেষ দিকে কেএনএফের ক্যাম্পে এই জঙ্গিদের প্রশিক্ষণ শুরু হয়। সেখানে অস্ত্র চালানো, বোমা (আইইডি) তৈরি, ঝটিকা ও চোরাগোপ্তা হামলার প্রশিক্ষণ দেওয়া হতো। , কেএনএফের সঙ্গে তাদের ক্যাম্পে জঙ্গিদের প্রশিক্ষণের জন্য জামাতুল আনসারের যে চুক্তি হয়েছিল, সেটার মেয়াদ ছিল ২০২৩ সাল পর্যন্ত।
এই পর্যন্ত প্রশিক্ষণের জন্য তিনটি ব্যাচ পাঠানো হয়েছে। এর মধ্যে প্রথম ব্যাচে ১২ জন ও দ্বিতীয় ব্যাচে ৩১ জন এবং তৃতীয় ব্যাচে ১২ জনকে কেএনএফের ক্যাম্পে পাঠানো হয়।
র্যাব সূত্রে জানা যায়,এ পর্যন্ত নতুন এই সংগঠনের মোট ৩৮ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের দেয়া মতে, তারা তাদের নিজস্ব ওয়েবসাইটও তৈরি করে আন্তর্জাতিক জঙ্গিগোষ্ঠীর দৃষ্টি আকর্ষণ ক
তাদের মূল লক্ষ্য ছিল।
একই কায়দায় জামায়াতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশও (জেএমবি) ২০০৫ সালের ১৭ আগস্ট সারা দেশে ৬৩ জেলায় একযোগে বোমা হামলা চালিয়ে এবং বোমার সঙ্গে প্রচারপত্র দিয়ে আত্মপ্রকাশ করেছিল। আইএস দাবি করে, দেশীয় জঙ্গিগোষ্ঠী নব্য জেএমবিও ২০১৬ সালে হোলি আর্টিজান বেকারিতে ভয়ংকর জঙ্গি হামলা চালিয়ে নিজেদের জানান দিয়েছিল। হামলার ছবি ইন্টারনেটে ছেড়ে ঘটনার দায় স্বীকারও করেছিল তারা।
২০১৬ সালে হোলি আর্টিজানে হামলার আগে আইএসের মতাদর্শে উদ্বুদ্ধ হয়ে অনেক তরুণ ‘হিজরতের’ নামে ঘর ছেড়েছিল। যারা পরে ভয়ংকর হামলায় অংশ নেয়। এবারও যদি কুমিল্লার সাত তরুণ নিখোঁজের জিডি গুরুত্বসহকারে নেওয়া না হতো, বড় বিপদের আশঙ্কা ছিল।
Please follow and like us: