বাঘায় দুই শিক্ষার্থীর দ্বন্দ্বে একজনকে মারপিট করলেন অপরজনের পিতা !
সালিশে পিতাকে মারপিট করে যখম
বাঘা (রাজশাহী) প্রতিনিধি : রাজশাহীর বাঘায় প্রথম শ্রেনীর এক ছাত্রীকে শাসন করার ঘটনায় পঞ্চম শ্রেনীর ছাত্র শাহাদত হোসেনকে পিটিয়ে আহত করেছে ঐ ছাত্রীর পিতা। মঙ্গলবার (১৪ ফেব্রুয়ারী) উপজেলার জোতনশী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার পরের দিন বুধবার (১৫ ফেব্রুয়ারী) সকালে স্থানীয় ইউপি সদস্য বাড়িতে এক সালিশের আয়োজন করা হয়। সালিশ বোর্ড করা আগে ছাত্র শাহাদত পক্ষের লোকজন জয়নালকে মারপিট করে যখম করে আহত করে। বর্তমানে দুইজন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্য্র ভর্তি করা রয়েছেন। এই ঘটনায় বৃহস্পতিবার বাঘা থানা পৃথক দুইটি অভিযোগ করা হয়।
জানা যায়, মঙ্গলবার দুপুরে টিফিনের সময় তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে ক্লাস ওয়ানে পড়া এক ছাত্রীকে শাসন করতে যায় পঞ্চম শেনীর ছাত্র শাহাদত(১২)। এ সময় ঐ ছাত্রী তর্কে জড়িয়ে পড়লে শাহাদত তার গালের উপরে একটি থাপ্পর দেয়। এরপর ঐ ছাত্রী বাড়ি গিয়ে তার বাবা-মাকে বিষয়টা অবগত করে। পরক্ষনে তার বাবা জয়নাল হোসেন স্কুলে প্রবেশ করে শাহাদতকে মারপিট করে আহত করে।
এদিকে উক্ত ঘটনার কিছুক্ষন পর ঐ স্কুলে উভয় পক্ষের মধ্যে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়লে পরক্ষনে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন করেন। শাহাদতকে বাঘা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্য্র ভতি করা হয়।
এই ঘটনায় পাকুড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের ইউপি সদস্য আব্দুর রফের বাড়িতে বুধবার সকাল ১০ টায় এক সালিশের আয়োজন করা হয়। সালিশ বোর্ড গঠন করা আগে ছাত্র শাহাদত হোসেনের পক্ষে লোকজন জয়নাল (৩৬) কে বেধম মারপিট করে আহত করেন। জয়নালকে উদ্ধার করে বাঘা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্য্র ভতি করা হয়। এই ঘটনায় উভয় পক্ষে থেকে থানায় পৃথক অভিযোগ করা হয়েছে।
এ বিষয়ে জোতনসী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আকতার বানু বেলী বলেন, টিফিনের বিরতি চলছিল। এ সময়ে কিছু বুঝে উঠার আগে জয়নাল স্কুলে এসে পঞ্চম শ্রেণির এক শিক্ষার্থীকে মার ধর করে। এগিয়ে গিয়ে তাকে রক্ষা করে পরিবারকে খবর দেয়া হয়। তারা এসে নিয়ে যায়। পরে তাকে পরিবারের পক্ষে হাসপাতালে ভর্তি করেছে। তবে বিষয়টি তাৎক্ষণিক ভাবে শিক্ষা অফিসার ও ইউএনও স্যারকে অবগত করা হয়।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শারমিন আখতার বলেন, ঘটনাটি অবগত রয়েছি। ঘটনার সত্যতার প্রমাণ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
বাঘা থানার অফিসার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বলেন, এবিষয়ে দুইটি অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনাটি তদন্ত চলছে।