পথিমধ্যে রাজশাহী -ঢাকাগামী ট্রেনের কোচে যান্ত্রিক ত্রুটি, কোচটি বিছিন্ন করে যাত্রা,ভোগান্তিতে যাত্রী
রাজশাহী প্রতিনিধি :- রাজশাহী থেকে ঢাকা গামী বনলতা এক্সপ্রেস ট্রেনের পথিমধ্যে একটি কোচের স্প্রিং ভেঙ্গে যাওয়াই কোচটি বিছিন্ন করে ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়।এর ফলে ঐ কোচ টির যাত্রীরা দুর্ভোগে পড়ে।
রাজশাহী রেল স্টেশন থেকে সকাল সাতটায় ছেড়ে যাওয়া ট্রেনটি সকাল ৯ টার দিকে বঙ্গবন্ধু সেতুর পশ্চিমে পৌঁছানোর পর ট্রেন কর্তৃপক্ষ বুঝতে পারে ট্রেনের কোন কোচে সমস্যা হয়েছে।
ট্রেন কর্তৃপক্ষ কোচের নীচের ভাগ চেক করতে গিয়ে পাঁচ নাম্বার ব্লকে ‘জ’ কোচের স্প্রিং ভাঙ্গা দেখতে পান।
ওই ট্রেনের ভ্রমন কারি যাত্রী আলী হোসেন জানান, সকাল সাতটায় ছেড়ে আসা ট্রেনটি যমুনা সেতুতে পৌঁছানোর আগেই ট্রেনের সমস্য অনুভব করেন চালক।যমুনা সেতু পশ্চিমে ট্রেনের নীচের ভাগ চেক করে
জ’ কোচের স্প্রিং ভাঙ্গা দেখতে পান।
কতৃপক্ষ কোচটি বিছিন্ন করে এক ঘন্টা বিলম্বে পুনরায় যাত্রা শুরু করে।
এর ফলে ঐ কোচের ১০৫ জন্য যাত্রী ঠাসাঠাসি করে অন্য কোচের উঠায় যাত্রীরা অস্বস্থি ও ভোগান্তিতে পড়ে।
পশ্চিমাঞ্চলের একমাত্র বিরতিহীন ট্রেনটি মাঝমধ্যেই পথিমধ্যে বিকল,লোকাল ট্রেনের মতো যাত্রা বিরতি, ২/ ৩ ঘন্টা বিলম্বের চলাচল সবাই মিলিয়ে ট্রেনটির এমন বেহাল দশায় কাঙ্খিত সেবা পাচ্ছেনা যাত্রীরা।
দ্রুত গতি সম্পন্ন ট্রেনটি পরিক্ষা নিরিক্ষা ছাড়া কিভাবে যাত্রা শুরু করলো,একাজে সংশ্লিষ্টদের কোন গাফিলতি বা ইচ্ছাকৃত ভাবে সরকার বা রেল কতৃপক্ষকে বেকায়দায় ফেলার ষড়যন্ত্র। বিষয়টি রেল কতৃপক্ষের ক্ষতিয়ে দেখা দরকার বলে মনে করছেন যাত্রীরা।
এ বিষয়ে রাজশাহী রেলওয়ে পশ্চিম মহাব্যবস্থাপক অসীম কুমার তালুকদার বলেন, পথিমধ্যে ট্রেনটির একটি কোচের স্প্রিং ভেঙে যাওয়াই ট্রেন চলাচল প্রায় একঘন্টা বন্ধ থাকে। পরে সেই ট্রেনটি বগি বিছিন্ন করে রেখে পুনরায় যাত্রা শুরু করে।
এবিষয়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।এর জন্য কারো গাফালেতে তার বিরুদ্ধে রেলআইনে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এছাড়া ঢাকা থেকে ফেরার সময় ট্রেনটি একটি এক্সট্রা কোচ সংযোজন করা হবে।যাতে ঐ কোচের ফেরার যাত্রীরা সমস্যায় না পড়ে।
এছাড়া অনাকাঙ্খিত ঘটনায় যাত্রী ভোগান্তির দায়ভার নিজ কাঁধে নিয়ে দুঃখ প্রকাশ করেন পশ্চিম রেলের এই উর্ধতন কর্মকর্তা।