চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ উপনির্বাচন: শেষ মুহূর্তে প্রচারণায় ব্যস্ত প্রার্থীরা
গোমস্তাপুর (চাঁপাইনবাবগঞ্জ) প্রতিনিধি: শূণ্য ঘোষিত চাঁপাইনবাবগঞ্জ- ২ (গোমস্তাপুর নাচোল,ভোলাহাট) আসনের উপনির্বাচন আগামী ১ফেব্রুয়ারী। নির্বাচনকে সামনে রেখে শেষ মুহূর্তে প্রার্থীরা তাঁদের প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। উপনির্বাচনে এই আসনে ৬ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্ট (বিএনএফ) টেলিভিশন প্রতীকের প্রার্থী মো. নবীউল ইসলাম ও জাকের পাটির গোলাপ প্রতীকের প্রার্থী গোলাম মোস্তফার গোমস্তাপুর,নাচোল, ভোলাহাট উপজেলায় গণসংযোগ ও পোস্টার তেমন চোখে পড়েনি ভোটারদের। তবে আওয়ামীলীগ মনোনীত নৌকা প্রতিকের প্রার্থী মু.জিয়াউর রহমান পুরোদমে ভোটারদের দ্বারে দ্বারে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। এছাড়া স্বতন্ত্র প্রার্থী (আওয়ামী লীগ বিদ্রোহী) সাবেক জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও সাবেক রাজশাহী জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলী সরকার আপেল প্রতীক ও অপর স্বতন্ত্র (আওয়ামী লীগ বিদ্রোহী) প্রার্থী সাবেক গোমস্তাপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য খুরশিদ আলম মাথল প্রতীক এবং জাতীয় পার্টির আব্দুর রাজ্জাক লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে প্রচারণায় ব্যস্ত সময় পার করছেন। তাঁরা নিজেকে যোগ্য প্রার্থী হিসেবে ভোটারদের আকর্ষণ করছেন। এদিকে উপজেলা সদর গুলোতে পোস্টার ছেয়ে থাকলেও মফস্বল এলাকায় তেমন পোস্টার টাঙানো নেই। তবে মাইকিংয়ে মুখরিত করে রেখেছে তাঁরা। এদিকে ইভিএম ভোট দিবেন এ আসনের ভোটাররা। ইভিএম এ ভোট দিতে অনেক ভোটার আগ্রহী বলে সাধারণ ভোটাররা জানিয়েছেন। তবে অন্য জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মত তেমন কোন উত্তাপ ও উৎসাহ নেই এই ভোটারদের মধ্যে।
তবে এই চাঁপাইনবাবগঞ্জ- ২ ( গোমস্তাপুর, নাচোল,ভোলাহাট) আসনে মূলত নৌকা ও আপেল প্রতীকের প্রতীদ্বন্দ্বিতা হবে বলে এলাকার অনেক ভোটার জানিয়েছেন।
পার্বতীপুর এলাকার ভোটার সেবলু বলেন, এই নির্বাচনে ৬ জন প্রার্থীর মধ্যে অনেককে চিনেন না। কখন দেখেন নি। মাঝেমধ্যে কয়েকজন প্রার্থীকে এলাকায় ভোট চাইতে দেখা গেছে। ইভিএম এ ভোট হচ্ছে তাই আগ্রহ করে ভোট দিতে যাবেন পছন্দ প্রার্থীকে।
স্বতন্ত্র (আওয়ামীলীগ বিদ্রোহী) আপেল প্রতীকের প্রার্থী মোহাম্মদ আলী সরকার বলেন, আমি এই এলাকার সন্তান। এলাকার বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদান রেখেছেন। আপেল প্রতীকের জোয়ার বইছে এই আসনে। সুষ্ঠু নির্বাচন হলে তিনি জয়লাভ করবেন বলে তিনি দাবি করেন। এছাড়া জয়ী হলে এলাকার উন্নয়নে কাজ করবেন।
নৌকা মনোনীত প্রার্থী জিয়াউর রহমান বলেন, ইতিপূর্বে সংসদ সদস্য থাকাকালীন এলাকায় ব্যাপক উন্নয়ন করা হয়েছে। এছাড়া বর্তমান সরকার সারাদেশে ব্যাপক উন্নয়ন করছে সেগুলো তুলে ধরছেন। এছাড়া এলাকার মানুষের সুখে দুঃখে সব সময় পাশে থেকেছেন । তিনি বিপুল ভোটে জয়ী হবেন বলে তিনি জানান।
প্রচারণাকালে জাতীয় পার্টির (লাঙ্গল প্রতীকের) প্রার্থী আব্দুর রাজ্জাক ও স্বতন্ত্র মাথল প্রতীকের (আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী) প্রার্থী খুরশিদ আলম জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী বলে তাঁরা জানান।
নির্বাচন অফিস সূত্রে গেছে জানা গেছে তিনটি উপজেলা নিয়ে এই আসনে ১৬টি ইউনিয়ন পরিষদ ও দু’টি পৌরসভা রয়েছে। পৌরসভা দু’টি হচ্ছে রহনপুর ও নাচোল।
গোমস্তাপুর উপজেলার আটটি ইউনিয়ন পরিষদ হচ্ছে গোমস্তাপুর, রহনপুর, রাধানগর, পার্বতীপুর, আলিনগর, বাঙ্গাবাড়ী, চৌডালা ও বোয়ালিয়া।
নাচোল উপজেলার চার টি ইউনিয়ন নাচোল, নেজামপুর, ফতেপুর ও কসবা । ভোলাহাট উপজেলার চারটি ইউনিয়ন ভোলাহাট, গোহালবাড়ী, দলদলি ও জামবাড়িয়া।
এই ৩ উপজেলায় মোট ভোটার রয়েছে চার লাখ পাঁচ হাজার ৪৫০ জন। তাঁর মধ্যে গোমস্তাপুর উপজেলায় ভোটার দুই লাখ সাত হাজার ৬৮৩ জন,নাচোল উপজেলায় এক লক্ষ ষোল হাজার ৩২০ জন ও ভোলাহাট উপজেলায় একাশি হাজার ৪৪৭ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ২ লাখ ১ হাজার ১৭০ জন এবং নারী ভোটার ২ লাখ ৪ হাজার ২৮০ জন। ভোট কেন্দ্র নির্ধারণ করা হয়েছে ১৮০টি এবং ভোটকক্ষের সংখ্যা ১ হাজার ২৩০টি।