চাঁদা না পেয়ে রাতের আঁধারে যুবলীগ নেতার মার্কেট ভাংচুর করে দখল
রাজশাহী প্রতিনিধি ;-৩০ লাখ টাকা চাঁদা না পেয়ে রাতের আঁধারে সশস্ত্র মহড়া দিয়ে একটি পুরো মার্কেট দখলের অভিযোগ উঠেছে রাজশাহী মহানগর যুবলীগের এক নেতার বিরুদ্ধে। শুধু মার্কেটটি নয় মার্কেটটির পুরো জমি তার বলে দাবিও করছেন এই নেতা।
ঘটনাটি ঘটেছে গত ৪ জানুয়ারি গভীর রাতে রাজশাহী মহানগরীর ম্যাচ ফ্যাক্টরির মোড়ে একটি মার্কেটে।
মার্কেটটিতে ব্যবসা করা দোকান মালিকেরা বলেন, তারা ১০ বছর ধরে সালামি দিয়ে মার্কেটটিতে ব্যবসা করে আসছেন। হঠাৎ করে গত ৪ জনুয়ার রাতের আঁধারে যুবলীগ নেতা নুরুল হুদা তার সন্ত্রাসী বাহিনী মার্কেটটিতে ভাংচুর চালাই এবং তাদের মালামাল লুট করে নিয়ে যায়।
মার্কেটটির ব্যবসায়ী সুলতানা বেগম বলেন, যুবলীগ নেতা দুরুল হুদা মার্কেটটি ভেঙ্গে জমি করে নিয়েছে এবং তাদের মালামাল লুট করা হয়েছে।
তিনি আরো বলেন,আমরা ব্যবসায়ী ২ লাখ টাকা করে সালামি দিয়ে আমরা ১০ বছর ধরে ব্যবসা করে আসছে।মার্কেটের জমি কে কিনেছেন এটা তাদের দেখার বিষয় নয়।তাদের তুলে দিতে হলে সময় দিয়ে ও জামাতের টাকা দিয়ে তুলে দিতে হবে।
কিন্তু তারা না,কর তাদের না জানিয়ে রাতের আধারে সন্ত্রাসী কায়দায় মার্কেটের দোকান ভেঙ্গে মালামাল লুট করা এ কেমন আইন। দেশে কি বিচার নাই।
সেলিনার মত একই অভিযোগ অভিযোগ মার্কেটিের অন্য ব্যবসায়ীদেরও।তারা বলছেন,রাতের আঁধারে মার্কেটের দোকানপাট ভাঙ্গার সময় দোকানের মালামাল নস্ট হয়েছে,লুট করা হয়েছে।
এখন তাদের পথে বসার অবস্থা।
তবে, যুবলীগ নেতা দুরুল হুদার দাবি তিনি ৩০ লাখ টাকায় জমিটি ক্রয় করেছেন।তার ক্রয়কৃত জমি নিয়ম মেনেই তিনি দখল নিয়েছেন।
অন্যদিকে জমিটির সাবেক মালিক নাজির মোহাম্মদ বলেন, তিনি তার পৈতৃক এই ৫ কাঠা জমি ২০০৬ সালে আব্দুল বারি ও তার স্ত্রী সেলিনা বারি দ্বয়ের নিকট বিক্রয় করেছি। নুরুল হুদার নিকট নেয়?
দুর হুদা যে দলিল দেখাচ্ছেন তা জাল।দলি লের স্বাক্ষরও আমার নয়।
বর্তমান জমির মালিক আব্দুল বারি বলেন,
১৭ বছর আগে ২০০৬ সালে তিনি ৫ কাঠার এই জায়গাটি নজির মোহাম্মদের নিকট ক্রয় করে ভোগ দখল করে আসছেন।
হটাৎ করে রাজশাহী মহানগর যুবলীগের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদকদক পরিচয় দানকারী দুরুল হুদা,মোস্তফা ও বিন্দুসাহাসহ কয়েকজন প্রধানমন্ত্রীর রাজশাহী আগমন উপলক্ষে আমার নিকট ৩০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন।আমি এতে অপারগতা জানালে, তখনই তিনি আমাকে শাসিয়ে বলেন, টাকা দিলেন না জায়গাটিও হারাবেন।
এর দুদিন পর গত ৪ জানুয়ারি দিবাগত গভীর রাতে এই যুবলীগ নেতা আমার মার্কেটের দোকান নিয়ে গুড়িয়ে দেয়, মালামাল লুট করে এবং মার্কেটটি দখল করে নেন।
রাতেই আমি থানায় আইনি সহায়তার জন্য থানায় গেলে অজ্ঞাত কারণে থানা পুলিশ কোন সহযোগিতা বা অভিযোগও নেননি।
এবিষয়ে বোয়ালিয়া মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মাজাহারুল ইসলাম বলেন, আব্দুল বারী নামে একজন লোক তার জায়গা জমির বিষয়ে অভিযোগ করার জন্য থানায় এসেছিলেন। জায়গা জমির বিষয়টি যেহেতু আদালতের থানার পুলিশের নয়।তাকে আদালতে যাবার পরামর্শ দেয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে রাজশাহী মহানগর যুবলীগের সভাপতি মোহাম্মদ রমজান আলী বলেন,এ বিষয়ে কেউ তার নিকট কোন অভিযোগ দেননি। আইন সবার জন্য সমা, অভিযোগ পেলে বিষয়টি তদন্ত করে তার অপরাধ পাওয়া গেলে তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।