গোমস্তাপুরে মাদক ব্যবসায়ী ও সেবনকারীদর বিরুদ্ধে ইউএনকে অভিযোগ
গোমস্তাপুর (চাঁপাইনবাবগঞ্জ) প্রতিনিধি: চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুরের সিদ্দিগ্রামের ১৩ জন মাদক ব্যবসায়ী নাম উল্লেখসহ সেবনকারীদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে গোমস্তাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আসমা খাতুনের কাছে অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। উরাও সম্প্রদায়ের সামাজিক সংগঠনের সভাপতি জহরলাল এক্কা গ্রামবাসির পক্ষে গত সোমবার ইউএনও কার্যালয়ে এসে অভিযোগটি করেন। পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আসমা খাতুন অভিযোগ নিয়ে জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণকে অবহিত করেছেন বলে জানা গেছে।
অভিযোগে জানা গেছে, উপজেলার রাধানগর ইউনিয়নের সিদ্দিগ্রামে দীর্ঘদিন হতে মাদকব্যবসা করে আসছে কিছু ব্যবসায়ী। এদের মধ্যে গিরীশ তির্কী,সমর তির্কী,মিলন কুজুর, রাজিব তির্কী, পালানি, ফুলো, সোনা মনি, বিশনী,তারা মনি,বিমল,মাতিন কুজুর, মতিতাল, যতিন মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। প্রকাশ্যে তাঁরা কেনাবেচা করে থাকে। এছাড়া গ্রামটিতে বিভিন্ন এলাকার লোকজন মাদকসেবন করে মাতলামি করে থাকে। তাঁদের এই কর্মকান্ডে অতিষ্ঠ গ্রামবাসী। এলাকার জনপ্রতিনিধি ও স্থানীয়রা নিধেষ করলেও তাতে তাঁরা কর্নপাত করেন না। পুনরায় চালিয়ে যান তাঁদের মাদকব্যবসা।
অভিযোগকারী জহরলাল এক্কা বলেন, ওই গ্রাম মাদকবিক্রি ও সেবনের রাজধানীতে পরিণত হয়েছে। তাঁদেরকে বলে কিছু হয়না। এলাকার যুব সম্প্রদায় আজ ধ্বংশের দিকে। বেকার যুবকরা মাদকের টাকা জোড়ার করতে না পেরে বিভিন্ন অসামাজিক ও অনৈতিক কর্মকান্ডে জড়িয়ে পড়ছে। এলাকায় শান্তি-শৃঙ্খলা আজ হুমকির মুখে পড়েছে। তাই তাঁদের কবল থেকে রক্ষার্থে উপজেলা প্রশাসনের কাছে আবেদন দিয়েছি।
রহনপুর মহিলা কলেজের শিক্ষক ও ওই গ্রামের বাসিন্দা প্রভাষক মোখতারুল ইসলাম সুমন বলেন ওই গ্রামে একটি অংশে আদিবাসী পল্লী আছে। সেখানে মাদক কেনাবেচা হয়। বিভিন্ন এলাকার লোকজনকে মাদকসেবন করতে দেখা যায়। বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয় এলাকায়। তিনি মাদকবিক্রি ও সেবনকারীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য প্রশাসনের হস্তক্ষেপ চেয়েছেন।
ওই ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য (মেম্বার) সেরাজুল ইসলাম বলেন, গ্রামবাসির অভিযোগের প্রেক্ষিতে গ্রাম পুলিশ নিয়ে তাঁদের নিষেধ করা হয়েছে। কিন্তু তারা মানছেন না।
অভিযোগের বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আসমা খাতুন বলেন,অভিযোগ পেয়েছি। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরকে অবহিত করা হয়েছে।
এ বিষয়ে জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মোহাম্মদ আনিছুর রহমান খাঁন বলেন, কোন অভিযোগ পায়নি। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।