খবররাজশাহী

গোডাউনে সরকারি চাল মজুদের খবর,অনুসন্ধানে দেখা গেল ভুট্টা !

বাঘা(রাজশাহী) প্রতিনিধি : রাজশাহীর বাঘা পৌর মেয়র আক্কাছ আলীর নিজেস্ব গোডাউনে সরকারি (ভি.জি.এফ) চাল মজুদের খবর পেয়ে ছুটে গেলেন সরকারি কর্মকর্তা-সহ স্থানীয় কয়েকজন সাংবাদিক। কিন্তু অনুসন্ধানে পাওয়া গেল ভুট্টা। শনিবার(২৯-এপ্রিল) দুপুরে বাঘার নারায়নপুর বাজারস্থ গোডাউনে গিয়ে এ তথ্য পাওয়া যায়।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বাঘা পৌর মেয়র আক্কাছ আলী একাধারে একজন রাজনৈতিক নেতা,জনপ্রতিনিধি এবং ব্যবসায়ী। তাঁর হরেক রকম ব্যবসার মধ্যে উল্লেখ যোগ্য ঠিকাদারি এবং পন্য মজুদ । যা দেখা শোনা করে থাকেন তাঁর বড়ভাই সাবদার হোসেন। তিনি জানান, আমার ভাই বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত। তবে দলের মধ্যে লবিং-গ্রুপিং থাকায় কতিপয় প্রতিপক্ষ নেতা আমার ভাইয়ের মানখুন্য করার জন্য চেষ্টা করে থাকেন। শনিবার উপজেলা নির্বাহী অফিসার সহ স্থানীয় সাংবাদিকদের ভুল তথ্য প্রদানের মাধ্যমে জানানো হয় যে, বাঘা খাদ্য গোডাউন থেকে ঈদের পূর্বে গরিবদের জন্য বরাদ্দ (ভি.জি.এফ) এর কিছু চাল জমা রেখে সেই চাল নারায়নপুর বাজারে আমাদের গোডাউনে মজুদ করা হচ্ছে। বাস্তব অর্থে এ তথ্য সঠিক নয়।

এদিকে বিভিন্ন লোক মারফত এ খবর শুনে সেখানে ছুটে যান বাঘা উপজেলা নির্বাহী অফিসারের প্রতিনিধি ও বাঘা পৌর সভার ভি.জি.এফ ট্যাগ অফিসার মনসুর আলী-সহ স্থানীয় কয়েকজন সাংবাদিক। এরপর অনুসন্ধানে পাওয়া যায় বাঘার পদ্মার চরাঞ্চল থেকে ভুট্টা এনে সেখানে মজুদ করা হচ্ছে। যার সত্যতা স্বীকার করেন ভুট্টা বিক্রেতা চরাঞ্চলের কৃষক নাননু মিঞা ও আবুল কালাম।

এ বিষয়ে বাঘা পৌরসভার ভি.জি.এফ ট্যাগ অফিসার মনসুর আলী বলেন, এবার পবিত্র রমজানের ঈদ পুর্ববর্তী সময় বাঘা পৌর সভা থেকে ৪৭ শ’ পরিবারের মাঝে ১০ কেজি করে (ভি.জি.এফ) এর চাল বিতরণ করা হয়। আমি সেটি দেখভালের দায়িত্বে ছিলাম। সেখানে কোন অনিয়ম কিংবা চাল অবশিষ্ট থাকার ঘটনা ঘটেনি।

এ বিষয়ে বাঘা পৌর মেয়র আক্কাছ আলী বলেন, একটি বড় রাজনৈতিক দলের মধ্যে লবিং-গ্রুপিং থাকতে পারে। তবে কাদা ছুড়া-ছুড়ির একটা সীমা রয়েছে। আল্লাহপাক সীমা লংঘন কারিদের পছন্দ করেন না।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *