খবরলীডশিক্ষা

উৎসবমুখর পরিবেশে রাবির  ৭০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন

আবুল কালাম আজাদ (রাজশাহী) : ‌‌‌‌স্বপ্ন গড়ার সাত দশক স্লোগানকে সামনে রেখে উৎসবমুখর পরিবেশে বৃহস্পতিবার (০৬ জুলাই) রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ৭০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন করা হয়েছে।
দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে ১৯৫৩ সালের এই দিনে যাত্রা শুরু করে। উত্তরাঞ্চলের মানুষের পশ্চাৎপদতা কাটিয়ে আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষিত করার লক্ষ্যে এই বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করা হলেও বর্তমানে দেশের সীমানা ছাড়িয়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটির গৌরব ও ঐতিহ্য বিশ্বময় ছড়িয়ে পড়েছে।
দিবসটি উপলক্ষে ক্যাম্পাসে দিনব্যাপী বর্ণাঢ্য কর্মসূচি নেওয়া হয়। সকাল ১০টায় সৈয়দ নজরুল ইসলাম প্রশাসনিক ভবনের সামনে জাতীয় সংগীত পরিবেশন, জাতীয় পতাকা এবং বিশ্ববিদ্যালয় ও হলগুলোর পতাকা উত্তোলন, পায়রা ‍ওড়ানো, বেলুন উড্ডয়নের মধ্য দিয়ে দিবসটির কর্মসূচি শুরু হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. সুলতান-উল-ইসলাম (ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য) প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বিশ্ববিদ্যালয় দিবসের বিভিন্ন কর্মসূচির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। এর আগে বিভিন্ন হলের প্রাধাক্ষ্য, শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারী জোহা চত্বরে একত্রিত হয়।
সেখান থেকে এক বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের করা হয়। উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. সুলতান-উল-ইসলাম (ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য) শোভাযাত্রার নেতৃত্ব দেন। শোভাযাত্রা শেষে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচিও পালন করা হয়।
এ সময় উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. সুলতান-উল-ইসলাম (ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য) বলেন, অনেক আশা-আকাঙ্ক্ষা নিয়ে এবং এই অঞ্চলের মানুষকে শিক্ষিত করে জ্ঞানের আলোয় আলোকিত করে যোগ্য মানবসম্পদ তৈরি করার লক্ষ্যে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা হয়েছিল।
সকলের প্রচেষ্টায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় আজ একটি বিশিষ্ট স্থানে পৌঁছাতে পেরেছে। শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দিতে পেরেছে।এই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে হাজার হাজার শিক্ষার্থী শিক্ষার আলো নিয়ে শুধু বাংলাদেশে নয়, সারা বিশ্বকে আলোকিত করে চলেছে। তারা তাদের যোগ্যতার প্রমাণ রেখে চলেছে।
তারা এই বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী হিসেবে সারা বিশ্বে প্রমাণ করেছে আমরাও পারি। সেই দিকের বিবেচনায় আমরা বলবো রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় যে স্বপ্ন নিয়ে প্রতিষ্ঠা হয়েছিল সেই স্বপ্ন সার্থক।
তিনি আরও বলেন, গতিশীল পৃথিবী কখনো বসে থাকে না। সেই গতির সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে হলে আমাদের প্রযুক্তির দিক দিয়ে আরও এগিয়ে যেতে হবে।যেটি হয়তো আমাদের সীমিত সম্পদের কারণে বা যোগ্য প্রশিক্ষণের অভাবে সেই জায়গায় উপনীত হতে পারিনি। আমরা যদি শিক্ষক, কর্মচারী-কর্মকর্তা ও শিক্ষার্থীরা একযোগে চেষ্টা করি তাহলে আরও উন্নতি করা সম্ভব।
রেজিস্ট্রার অধ্যাপক আবদুস সালামের সঞ্চালনায় আরও উপস্থিত ছিলেন উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক হুমায়ুন কবীর, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক অবাইদুর রহমান প্রামাণিক, বঙ্গবন্ধু অধ্যাপক সনৎকুমার সাহা, প্রক্টর অধ্যাপক আসাবুল হক, ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক জাহাঙ্গীর আলম সাউদ, জনসংযোগ দপ্তরের প্রশাসক অধ্যাপক প্রদীপ কুমার পাণ্ডে, বিভিন্ন হলের প্রাধাক্ষ্য, কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ শিক্ষার্থীরা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *