অবিভাবকহীন রাজশাহীর বাজার লাগামহীন নিত্যপণ্যের দাম
আবুল কালাম আজাদ (রাজশাহী):-রাজশাহীতে নিয়মিত বাজার মনিটরিং না থাকায় অবিভাবকহীন হয়ে পড়েছে সকল নিত্যপন্যের বাজার
যার কারনে বাজারে সবজি সহ সকল নিত্য পণ্যের দাম লাগামহীন ভাবে বেড়েই চলেছে।
গতি শুক্রবারের ৪ দিনের মধ্যে শাকসবজিসহ নিত্যপণ্যের দাম প্রতিদিন বাড়তেই আছে। এছাড়া মাছ, মাংস ও ডিমের দাম বাড়ছে দফায় দফায়। এতে দিশেহারা হয়ে পড়ছে দিন মজুর ও স্বল্প আয়ের মানুষ।
১০ মে বুধবার সকালে রাজশাহীর,সাহেব বাজার,কোট বাজার,লক্ষণপুর বাজার,শাল বাগান বাজার,নওদাপাড়া বাজার,বিনোদ পুর বাজার ঘুরে জানা যায়, কাঁচাবাজারে বেগুন, শসা, টমেটো, লাউ, আলুসহ কয়েকটি সবজির দাম বেড়েছে অস্বাভাবিক গেছে। মাছ-মাংস ও ডিমের দামও ক্রেতাদের নাগালের বাইরে।
কাঁচাবাজার গুলোতে নানা পদের সবজিতে ঠাসা থাকলেও চড়া দামে বিক্রি হওয়ায়
ক্রেতাদের অসন্তোষ। দোকানভেদে একই সবজি বিক্রি হচ্ছে ভিন্ন দামে। বুধবার কেজিপ্রতি আলু ৩৫ টাকা, দেশি পেঁয়াজ ৬৫/৭০ টাকা, দেশি রসুন ১৫০/১৬০ টাকা, আদা ২০০ টাকা, দেশি আদা ২৫০ টাকা, টমেটো ৬০ টাকা, কাঁচামরিচ ১৩০ টাকা, পটোল ৬০/৭০ টাকা, ঢেঁড়স ৪০/৫০ টাকা, শসা ৫০ টাকা, চিচিঙ্গা ৮০ টাকা, রববটি ৫০ টাকা, লম্বা বেগুন ৪০ টাকা, করলা ৮০ টাকা, গোল বেগুন ৬০ টাকা, ঝিঙা ৫০/৬০ টাকা, লতি ৫০/৬০ টাকা বিক্রি হয়।
এ ছাড়া, লেবুর হালি ২০ টাকা, ধনেপাতা ২০০ টাকা কেজি, লালশাক এক মুঠো ১০ টাকা, লাউশাক এক মুঠো ২৫ টাকা, মিষ্টিকুমড়া ৪০ টাকা কেজি, কাঁচকলা হালি ২০ টাকা, পুঁইশাক ৪০ টাকা কেজি, চালকুমড়া প্রতি পিস ৩০/৪০ টাকা, লাউ প্রতি পিস ৪০/৫০ টাকা, ডাঁটাশাক এক মুঠো ১০ টাকা বিক্রি হচ্ছে।
মাছের দরদাম ওঠানামা নিয়ে ভিন্ন কথা বলছেন বিক্রেতা। বাজারে প্রতি কেজি বড় চিংড়ি ১৪শ থেকে ১৫শ টাকা, পাবদা ৬শ টাকা কেজি, এক কেজি ওজনের বোয়াল ৯শ টাকা, টেংরা মাছের কেজি ৬শ টাকা, রুই-কাতালার কেজি ৩৫০/৪০০ টাকা, পাঁচমিশালি মাছ ৫শ থেকে ৬শ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। গরুর মাংস ৭৫০ টাকা ও খাসির মাংস ১ হাজার টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। ব্রয়লার মুরগি কেজি ২০০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। দেশি মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬৫০/৭০০ টাকা কেজি। ডিমের হালি বিক্রি হচ্ছে ৪৬/৪৮ টাকা। খোলাবাজারে সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ১৯০/২০০ টাকা লিটার। গত সপ্তাহের চেয়ে আজ বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে।
বাজার করতে আসা ক্রেতারা বলেন, বাজারে ব্যাপক সবজির সরবরাহ আছে কিন্তু দাম কমছে না। নিয়মিত বাজার মনিটরিং হয় না বলে পণ্যের দাম কমেনা।